5G (5th-generation wireless network) নেটওয়ার্ক পরিষেবা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে, মনে করছেন অভিনেত্রী জুহি চাওয়ালা। তবে টেলিকম সংস্থাগুলো শীঘ্রই এদেশে এই অত্যাধুনিক পরিষেবা চালু করবার পরিকল্পনা করছে। বাজারে বেশ কিছু মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা আগেই নিয়ে এসেছে ৫জি মোবাইলও। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’য় প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে 5G চালু করার কথা ভেবেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তবে বহু পরিবেশপ্রেমীর মতো জুহি চাওয়ার বিশ্বাস এই পরিষেবা চালু হলে বিপন্নের মুখে পড়বে হবু পশু-পাখির অস্তিত্ব, এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মানুষও। এই নিয়ে দু-দিন আগেই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন জুহি। আজ সেই মামলার ভার্চুয়াল শুনানির দিন নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু শুনানির মাঝেই অদ্ভূত কাণ্ড!
কী ঘটল? মামলার শুনানি চলাকলানী আচমকাই এক ব্যক্তি জুহির ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ারকে’ ছবির হিট গান ‘ঘুংঘাট কি আর সে দিলবর কা' গাইতে শুরু করেন! যা চমকে দেয় সকলকে। এখানে থেমে যাননি ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি ‘লাল হোঁঠো পে গোরি তেরা নাম হ্যায়’ গান চালু করেন। জুহির অপর এক চর্চিত ছবি ‘নাজায়াস’ (১৯৯৫)-এর সুপারহিট গান এটি।
এরপর দ্রুত ভার্চুয়াল শুনানি থেকে বার থেকে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু ফের ফিরে আসেন তিনি। এবং জুহির সেই অন্ধ ভক্ত আবারও এসে গান জুড়ে দেন। এবার বেছে নেন আয়না ছবির ‘মেরি বননো কী আয়েগি বারাত’ গানটি। গোটা ঘটনায় হতচকিয়ে যান বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা। এই বিষয়ে জুহির কৌঁসুলি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আশা করছি কোনও উত্তরদাতা ইচ্ছাকৃতভাবে মামলার শুনানিতে বাধা তৈরির জন্য বিষয়টি প্ল্যান করে করেননি। মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি 4G রেডিয়েশনের জেরেই জর্জরিত।
যদিও আজকের এই ভার্চুয়াল শুনানিতে জুহির ফ্যান-বয়ের ঢুকে পড়াটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়, কারণ জুহি নিজেই ইনস্টাগ্রামে ভার্চুয়াল শুনানির লিঙ্ক শেয়ার করেছিলেন। কোর্টের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য জুহির ওই অন্ধভক্তকে পাকড়াও-এর আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি।