জনপ্রিয় হিন্দি গানের রিমেকের ট্রেন্ডের কথা মাথায় রেখেই টি-সিরিজ সামনে এনেছে মাসাকলি ২.০। যে গানে ধরা গিয়েছেন বলিউডের মরজাওয়াঁ জুটি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা-তারা সুতারিয়া। এ আর রহমানের কম্পোজ করা দিল্লি ৬ ছবির মাসাকলির নতুন ভার্সন কিন্তু মন জোগাতে ব্যর্থ হল। মাসাকলির রিমেক নিয়ে শুধু মাসাকলির স্রষ্টা এ আর রহমানই হতাশ তা নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায়তে প্রায় একই রকমের প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ল।
মাসকলি ২.০ রিক্রেয়েট করেছেন তানিশক বাগচি। যিনি বলিউডের রিমেক বা রিক্রিয়েশন কিং নামেও পরিচিত। কারণ তানিশকের নিজের কম্পোজ করা গানের চেয়ে বোধহয় রিমেক গানের সংখ্যাটা বেশি! গানটি গেয়েছেন তুলসী কুমার এবং সাচেত টন্ডন। বুধবার এই গান মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই টুইটারে মজাদার মিমের বন্যা মাসাকলি ২.০ নিয়ে। কোনও মিমে সূর্যবংশমে ঠাকুর ভানুপ্রতাপ (অমিতাভ) সিংয়ের বিষ খাওয়ার পরে বমি করার দৃশ্যের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে- মাসাকলি ২.০ দেখে মানুষের এটাই প্রতিক্রিয়া। কেউ আবার খাট্টা-মিটা ছবির অক্ষয়-জনি লিভারের রোড রোলার ঠিক করার দৃশ্য নিয়ে মিম বানিয়ে লিখেছেন-'হ্যাঁ, এক্ষুনি খারাপ করে দিচ্ছি'।
টুইটারের বাসিন্দাদের হাত থেকে রেহাই পেলেন না মোদীও। মোদির ভাষণের ক্লিপ শেয়ার করেও মাসাকলি ২.০ নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাল
মাসাকলি ২.০-র ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে বৃষ্টিভেজা প্রেমিক যুগল এক বিলাসবহুল হোটেলে বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ে এই গানে নাচছে। মরজাওয়াঁ(২০১৯) ছবির লুকেই এখানে পাওয়া গেল সিদ্ধার্থ-তারা জুটিকে। গায়িকা তুলসী কুমার এই গানের নতুন ভার্সন সম্পর্কে আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, আমার মনে হয় মিউজিক বিষয়টা খুব আত্মকেন্দ্রিক। হয়ত আমার কিছু পছন্দ হল,কিন্তু অন্যজনের সেটা পছন্দ নাও হতে পারে। আমার মনে হয় না যদি কোনও গান সুন্দরভাবে এবং সঠিকভাবে রিক্রিয়েট করা হয় তাহলে সেটা ক্ষতিকর। রিক্রিয়েশনের পিছনেও অনেক মানুষের সৃজনশীলতা কাজ করে।
কিন্তু মাসাকলির রিমেক নিয়ে একেবারেই খুশি নন অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালক, মাসাকলির স্রষ্টা এ আর রহমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে সেই চাপা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রহমান। বুধবার রাতে টুইটারের দেওয়ালে তিনি লেখেন, ‘আসল মাসাকলি শুনুন। কোনও শর্টকাট পথে নয়,সঠিকভাবে অনুমোদিত, নিদ্রহীনরাত্রি, লেখা শেষের পর ফের লেখা। ২০০ জন সঙ্গীতশিল্পী, ৩৬৫ দিনের সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা-শুধুমাত্র একটাই লক্ষ্য এমন একটা সঙ্গীত তৈরি করা যেটা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। একজন পরিচালক, একজন সঙ্গীত পরিচালক এবং গীতিকার-তাঁদের সাহায্য করেছেন অভিনেতা,নৃত্য পরিচালক(কোরিওগ্রাফার) এবং ছবির সঙ্গে যুক্ত অগুণতি কুশীলবরা। অনেক ভালোবাসা এবং প্রার্থনা- এ আর রহমান’।