তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই উঁকিঝুঁকি , সমালোচনার অন্ত নেই । কিন্তু কেরিয়ারের পিচে বরাবরই সেইসব অবান্তর বিষয়কে স্ট্রেট ব্যাটেই খেলতে ভালোবাসেন টলিউড সুন্দরী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ট্রোলারদের বরাবরই পালটা জবাব দিতে পিছিয়ে আসেন না স্বস্তিকা। এই টলি সুন্দরীর ঠোঁটকাটা ইমেজকে সকলেই সমঝে চলেন। সম্প্রতি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন স্বস্তিকা। তবে এবার বিষয়টা একটু হলেও যেন আলাদা। এবার অনুরাগীর প্রশংসার অভিনব জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
এক ভক্ত টুইটারে স্বস্তিকার প্রশংসা করে কিছু আক্ষেপের সুরে বলেন অসাধারণ অভিনয় করেন স্বস্তিকা তবুও দুর্ভাগ্যবশত নায়িকাকে ‘আন্ডাররেটেড’ বলেই মনে হয় তাঁর। কারণ তাঁর অভিনয় প্রতিভাকে কোনও ইন্ডাস্ট্রিই সঠিকভাবে কাজে লাগায়নি। এই টুইট শেয়ার করেই স্বস্তিকা লেখেন, 'কেওড়াতলা যাওয়ার আগে করে নেবে। আশায় বাঁচে চাষা।'
বাংলা ছবির সীমানা অতিক্রম করে সম্প্রতি আমাজন প্রাইমের ক্রাইম থ্রিলার ‘পাতাল লোকে’র অংশীদার হয়েছেন স্বস্তিকা। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’য় বাঙালি মায়ের টানাপোড়েন ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর দক্ষ অভিনয় প্রতিভায়। তবুও ব্যোমকেশ বক্সীর মতো যশ রাজ ফিল্মসের ছবিতে অভিনয়ের পর জাতীয় স্তরের মানচিত্রে জায়গা কোথায় পেয়েছেন স্বস্তিকা। তবে আপতত পরিস্থিতি পালটাচ্ছে, সেটা খুশির খবর।
দীর্ঘদিন বাংলার ছবি বা ওয়েব সিরিজের পর্দা থেকে গায়েব থাকার পর সদ্যই হইচই তে ‘তাসের ঘরে’র সুজাতা হয়ে নেটদুনিয়ার দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বাংলায় থেকে প্রায় বছর খানেক উধাও থাকা প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন- ‘দেখুন মানুষের সবসময়ই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে আক্ষেপ থাকবেই । যখন আমি একসময় একের পর এক বাংলা ছবিতে কাজ করেছি , তখন আমায় প্রশ্ন করা হতো আমি কেন বলিউডে যাচ্ছি না, আমি হলাম কিনা ন্যাশনাল ট্রেজার- আরও কত্ত কি । এখন যখন হিন্দিতে কাজ করছি তখন আমি কেন বাংলায় নেই সেই প্রশ্ন আসছে। এখন একটা মানুষের একসাথে দু জায়গায় থাকা কি সম্ভব ? একদিকে কাজ বেশি হলে অন্য দিকে তো কাজ কম হওয়াটাই স্বাভাবিক’।
পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে স্বস্তিকা অভিনীত ছবি ‘গুলদস্তা’। এই ছবিতে ‘সেলস ম্যান’ ডলি বাগড়ি হয়ে সামনে আসতে চলেছেন নায়িকা, ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ট্রেলার। হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ চরিত্রহীনের তিন নম্বর সিজনে লিড রোলে দেখা যাবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে।