স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণের সমস্যায় পড়লে বহু মহিলাই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। IVF-এর সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবেন। তবে একটা সময় ছিল মাতৃত্বের জন্য IVF-এর সাহায্য নিলে মহিলাদের দিকে আঙুল তোলা হত, তাঁদের কলঙ্কিত করা হত। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এসে এবিষয়েই মুখ খুলেছেন বলিউডের পরিচালক, কোরিওগ্রাফার ফারহা খান। যিনি কিনা নিজেই গর্ভধারণের জন্য IVF-এর সাহায্য নিয়েছিলেন। সিজার, ডিভা ও অন্যা, বর্তমানে ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের মা ফারহা।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকার ভূমিকায় ছিলেন অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এগুলোকে লুকিয়ে রাখে। কারণ বহু লোকজন ভাবেন, ওই মহিলার স্বাভাবিকভাবে গর্ভধরণের ক্ষমতা নেই। এক্ষেত্রে সাধারণত আমাদের সমাজে মহিলাদের দিকেই আঙুল তোলা হয়, দাগিয়ে দেওয়া হয়। আপনি তো বহু বছর আগেই গর্ভধারণের জন্য IVF-এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এই সাহসটা কীভাবে পেয়েছিলেন? কখনও মনে হয়নি, লোকজন এটাকে নিয়ে নানান কথা বলবেন!’
উত্তরে ফারহা খান বলেন, ‘আমি এমন একজন মহিলা, যে কখনও ভাবে না যে লোকে কী বলবে! আমি তো বিয়েই করেছি ৪০ বছর বয়সে। আর শিরীষ (কুন্দের) আমার থেকে ৮ বছরের ছোট। তখন অনেকেই ঠাট্টা করেছিল, এই বিয়ে টিকবে না, চলবে না। তবে আমি ওদের নিয়ে মাথা ঘামাই নি। কারণ, যাঁরা আলোচনা করেন, তাঁরা আমার বাড়ি সামলে দিতে আসবেন না। তাই কে কী বলল, তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।’
ফারহা বলেন, ‘সুতরাং আমি মহিলাদের এটাই বলব, IVF খারাপ কিছু নয়। এটা ভালোই, আর অবৈধও নয়, তাই আমি অন্যায় কিছু করি নি। এটা সম্পূর্ণ বৈধ। আর একথা প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে আপনার বয়স ৪০ বছর বা যাই হোক না কেন, আপনি মা হতে পারেন। আর গর্ভধারণে সমস্যা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য হয়, এমনটা একেবারেই নয়। অনেক সময় পুরুষদেরও দুর্বল/অলস স্পার্ম বা শুক্রাণুর কারণেও সন্তান আসতে সমস্যা হয়। যদিও বহু পুরুষ এই বিষয়টা কোনওভাবেই মানতে চান না। ওরাঁ হয়ত ভাবেন, তাঁদের দিকে আঙুল উঠবে। তবে যাঁরা বিষয়টা নিয়ে প্রকাশ্যেই কথা বলতে দ্বিধা করেন না, তাঁদের নিয়ে আমি গর্বিত। এটা লজ্জার বা লুকোনোর কিছুই নেই…।’