বলিউডের পয়লা নম্বরের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তালিকায় নাম আসে ফারহান আখতারের। সম্প্রতি নিজের বেড়ে ওঠা নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে। বাবা জাভেদ আখতার ও মা হানি ইরানি। দুই ভিন্ন ধর্ম মানুষের সঙ্গে থেকেও, বড় হয়ে ওঠার সময় ধর্ম তারওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে জানালেন তিনি।
‘কোনও ধর্মীয় প্রভাব’ ছাড়াই বড় হয়েছেন, দাবি করলেন ফারহান। বাবা জাভেদ আখতার মুসলিম আর মা হানি ইরানি জরথুস্ত্রীয়। ফারহান জানালেন, বাবা কোনওদিন কোনও ধর্ম পালনের জন্য জোর করেননি তাঁকে। বরং, প্রশ্ন করা শিখিয়েছিলেন। পরিচালক-অভিনেতা মনে করেন, যখনই কোনও বাচ্চা কোনও ধর্মীয় পথ অনুসরণ না করে বড় হয়, তখন সে খারাপ-ভালো সবটাই দেখতে পারে। সে প্রশ্ন করতে শেখে।
ফারহান স্পষ্ট করে দেন, কখনো তাঁর বাবা তাঁকে ভগবানে বিশ্বাস করতে বাধা দেননি। বরং তাঁরা দুই ভাই-বোন যা দেখেছেন, সেটাই আত্মস্থ করেছেন। অভিনেতা-পরিচালক আরও বলেছেন, কীভাবে তাঁর বাবা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছিলেন, যেখানে যুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণের মূল্য ছিল। সঙ্গে ফারহান এটাও জানেন ভগবানের প্রতি ‘বিশ্বাস’ অনেককে মানসিক শান্তি দেয়।
ফারহান আরও বলেন যে, ছোটবেলায় যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আনন্দ ছিল তাঁর কাছে বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, ভালো ভালো খাবার খাওয়া। সঙ্গে ভাগ করে নেন মা হানি ইরানি বাড়িতে উৎসহের সঙ্গে দোল, দীপাবলি, ঈদ এবং বড়দিনের মতো উৎসবগুলি পালন করতেন। আর এভাবে বড় হয়ে ওঠার কারণে যে কোনও সংস্কৃতির উদযাপনই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের সূত্রে, ফারহান আখতারকে এরপর দেখা যাবে, ডন ফ্র্যাঞ্জায়েজির পরবর্তী সিনেমাতে। তবে এবারে আর ডনের চরিত্রে দেখা যাবে না শাহরুখ খানকে। সেই জায়গায় থাকবেন রণবীর সিং। ফে ডি'সুজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক ফারহান আখতার জানান, তিনি শাহরুখ খানের কথা মাথায় রেখেই চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু, এমন কিছু পাচ্ছিলেন না যাতে গল্পটা দাঁড় করানো যায়। তিনি আর শাহরুখ, গল্পের নিরিখে একমত হতে পারেননি বলেও স্পষ্ট করেন ফারহান। এরপর এমন কিছু করার কথা ভাবেন, যা দেখাবে ‘ডনকে ডন বানালো কী’! তারপর, সেই গল্প প্রাণ পেতে শুরু করে। এর জন্য অল্পবয়সী অভিনেতার প্রয়োজন ছিল। আর সেখান থেকেই রণবীর সিং-কে কাস্ট করা।