প্রকাশিত হয়েছে অভিনেত্রী নীনার গুপ্তার আত্মজীবনী ‘সাচ কাহু তো’। বইতে নিজের পরিবার সম্পর্কে লিখেছেন নীনা। যা অনেকেরই অজানা। সেই সম্পর্কে লিখতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর চোখ ভিজে আসছিল। তাঁর বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি নীনার না। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পেরে, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বলেন, বহু বছর বাবার কাছে ছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে প্রশ্ন না করার জন্য় এখনো আক্ষেপ হয় নীনার। আত্মজীবনী প্রাকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন করিনা কাপুর খান।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, পরিবার সম্পর্কে আত্মজীবনীতে তুলে ধারাটা খুব কঠিন ছিল তাঁর কাছে। নীনার কথায়, ‘ওই অধ্য়ায়টা লেখার সময়টা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। মনে হয়েছিল আমি ওই ব্যপারে তো অতটাও কিছু জানিনা, আবার অল্প বিস্তর জানি। যেখানে আমার পরিবার, ভাই-বোন আছে- কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আমি কখনো সরাসরি কথা বলিনি। এখন যখন তাঁরা নেই, আমার মনে হয়, হে ভগবান- আমি কেন কথা বললাম না?’
অভিনেত্রীর কথায়, বাবার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এমনকি যখন তিনি বই লিখছিলেন এবং ওই অধ্যায়তে ছিলেন, একবার তাঁর মনে হয়েছিল, ‘কেন আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলিনি, কেন প্রশ্ন করিনি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের সময় কী ঘটেছিল? এগুলো তখন প্রশ্ন করা হয়নি। এখন সেগুলো বলার মতো কেউ নেই’।
জুমের রিপোর্ট অনুযায়ী বইতে লেখা রয়েছে, দীর্ঘ একটা সময় লেগেছিল নীনার পরিবারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বাবার কাছ থেকে এই ধরণের বিশ্বাসঘাতকা তাঁর মায়ের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর মা নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিল (চেষ্টা করেছিল, পারেনি)। প্রত্য়েক রাতে ডিনার করে বাবার চলে যাওয়াটা সাধারণ কোনো বিষয় ছিলনা, এটা আমার বুঝতে সময় লেগেছিল। এমনকি পরদিন সকালে আফিসে যাওয়ার আগে বাড়ি না ফেরা, পোশাক পরিবর্তন, ব্রেকফাস্ট না করা কোনোটাই স্বাভাবিক ছিলনা। বাবা সীমা আন্টির (তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে আমরা এই নামে ডাকতাম; নাম পরিবর্তন) সঙ্গে সময় কাটাতে যেতেন’।