আইনত মেয়ের বয়স ৯ বছর হলেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া যাবে। ইরাক-এর সংসদে বিবাহ আইন সংশোধন করে এমনই প্রস্তাব আনা হয়েছে। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকের এই বিবাহ আইন নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। ইরাকের এমন বিবাহ আইনের কথা জেনে কী বলছেন তিনি?
ইরাকের বিবাহ আইন নিয়ে ফাতিমার প্রতিক্রিয়া এটা 'ভয়াবহ'। ইরাকের বিবাহ আইন নিয়ে প্রকাশিত খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফাতিমা লিখেছেন, ‘ইরাকে মেয়েদের বিবাহের বৈধ বয়স ১৫ থেকে কমিয়ে ৯-এ আনা হয়েছে। এর অর্থ পেডোফিলিয়াকেই (পেডোফেলিয়া-শিশুদের প্রতি যৌন লালসা, যৌন নির্যাতন) বৈধ করার চেষ্টা চলছে।’
নিজের পোস্টের ক্যাপশানে ফাতিমা লিখেছেন, ‘পৃথিবীর কোনও প্রান্তে আজও এটার কোনও অর্থ হয়! ভয়াবহ’।
আরও পড়ুন-‘হাসিনার সময় নয়, ওঁর পদত্যাগের পর সেদিন গণহত্যা হয়েছে’, বিষ্ফোরক জ্যোতিকা জ্যোতি
ইতিমধ্যেই ইরাকের পার্লামেন্টে, এই প্রস্তাবিত বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ এই বিলে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স কমিয়ে ৯ বছর করার কথা বলা হয়েছে। এই আইনটির লক্ষ্য দেশের ব্যক্তিগত স্থিতি আইন সংশোধন করা। বর্তমানে ইরাকে বিয়ের জন্য নূন্যতম বয়স হল ১৮। তবে নারী-পুরুষ উভয়েই সম্মত থাকতে তাঁরা ১৫তেই বিয়ে করতে পারতেন। তবে আবার নতুন আইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দেশের বাসিন্দারা ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করবেন নাকি সিভিল কোর্ট ম্যারেজ করবেন তা তাঁরা বেছে নিতে পারবেন।
তবে নতুন এই আইনে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো আরও একটা বিষয় হল মহিলাদের ডিভোর্স নেওয়ার ক্ষেত্রে বা সন্তানের কাস্টডি বা অন্যান্য বিষয়ে যে অধিকার রয়েছে সেগুলো কমিয়ে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, মূলত আবদুল-করিম কাশিমের সরকারের বিবাহ আইনের সংশোধনের দাবি তুলেছে শিয়া দলগুলি। তারাই ১৯৫৯ সালের ব্যক্তিগত আইনের ১৮৮ নম্বর আইন সংশোধনের দাবি তুলেছে।
এদিকে এই বিবাহ আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। তাঁদের মতে এই আইন পাশ হয়ে গেলে বাল্যবিবাহ এবং বাচ্চা মেয়েদের উপর অত্যাচার বাড়বে। তাঁদের শৈশব হারিয়ে যাবে। সেই কারণেই একাধিক মানবাধিকার সংস্থা এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে এতে শিশুদের উপর কুপ্রভাব পড়বে। বিশেষ করে তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।