ছবির প্রেক্ষাপট জুড়ে রয়েছে কন্যাসন্তান বাঁচানোর ডাক। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ ভাবনা নিয়ে তৈরি রণবীর সিং-এর ‘জয়েশভাই জোরদার’-এ দেখানো হয়েছে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ! আর সেই নিয়ে যত বিতর্ক। কেন এমন অবৈধ ও বেআইনি কাজের প্রচার করবে ’? প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আগেই, আর সেই মামলার শুনানিতে বড় ধাক্কা খেল ছবির নির্মাতারা।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি বিপিন সাংঘি এবং নবীন চাওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন স্পষ্টরূপে ‘জয়েশভাই জোরদার’ ছবির নির্মাতাদের কৌঁসুলির কাছে বিতর্কিত দৃশ্যের উপযুক্ত সাফাই দাবি করেন বিচারপতিরা। তাঁরা স্পষ্ট জানান ওই বিতর্কিত দৃশ্যটি সম্পূর্ণরূপে না দেখে কোনও রায়দান সম্ভবপর নয়। জবাবে বিবাদী পক্ষ জানায়, আগামিকালের মধ্যে ছবির একটি প্রিভিউ কপি আদালতে জমা দেওয়া হবে।
তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ছবির ট্রেলারের বিতর্কিত অংশ নিয়ে কোর্ট জানিয়েছে, সদার্থক এবং সমাজকল্যাণকর বার্তা এই ছবিতে থাকতেই পারে তবে ওই দৃশ্যটিতে তেমন কিছু চোখে পড়ছে না। উপরোন্তু ওই দৃশ্যে কোনওরকম বিজ্ঞপ্তি নেই। এই ধরণের কোনও দৃশ্য দেখানোর জন্য আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি নেওয়া জরুরি, জানাল হাই কোর্ট।
পরিচালক দিব্যাং ঠক্করের ছবির ট্রেলারে ইউএসজি ক্লিনিকের ওই দৃশ্যটিতে প্রকাশ্যে ইউএসজি-র মাধ্যমে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ দেখানো হচ্ছে কোনও রকম সেন্সর ছাড়াই। পাশাপাশি কন্যা ভ্রণকে গর্ভেই মেরে ফেলবার মতো বিষয়ও দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় জানানো হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পিএনডিটি আইন অনুযায়ী এই কাজ ভারতে অবৈধ।
ইতিমধ্যেই কোনওরকম কাটছাঁট ছাড়াই সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে এই ছবি। আগামী ১৩ই মে মুক্তির দিন নির্দিষ্ট রয়েছে ‘জয়েশভাই জোরদার’-এর। তার আগেই এই মামলার শুনানির জন্য দিল্লি হাই কোর্টের কাছে দরবার করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।