২০২০-এর ১৪ জুন ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে ছিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তাঁর অকাল মৃত্যুতে কেবল তাঁর আত্মীয় পরিজনরা নন, গোটা দেশবাসী ভেঙে পড়েছিল। তবে নায়কের এই আকস্মিক মৃত্যুকে ঘিরে দানা বাঁধে রহস্যও। আপাতদৃষ্টিতে আত্মহনন মনে হলেও অনেকের দাবি তাঁকে মৃত্যু নাকি স্বাভাবিক ছিল না। তাঁর মৃত্যুর পর সমাজমাধ্যম থেকে গণমাধ্যম নানা জায়গাতেই এই নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়েছিল। অভিনেতার মৃত্যু রহস্য ভেদ করতে শুরু হয়েছিল তদন্তও। তাঁকে যারা কাছ থেকে চিনতেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয় নিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন, দিয়েছিলেন সূত্রও। এর মধ্যে একজন ফিল্ম ক্রিটিক তথা প্রাক্তন সাংবাদিক রাজীব মাসান্দ বেশ কয়েকটি লেখা লেখেন, যেখানে তিনি সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর জন্য বেশ কিছু তারকার দিকে আঙুল তোলেন বলে অভিযোগ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন তিনি। রাজীব মাসান্দ 'ব্লাইন্ড আইটেম' নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল বি-টাউনে। এক পডকাস্টের আবারও তাঁর লেখা ঘিরে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক নিয়ে রাজীব মুখ খোলেন। তাঁর মতে এই লেখাগুলি ক্ষতিকারক নয় বরং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অন্দরের কিছু সাধারণ তথ্য মাত্র।
আরও পড়ুন: সত্যিই কি ডিভোর্স হচ্ছে? ইনস্টাগ্রামেই বা আনফলো কেন? অবশেষে মুখ খুললেন অর্জুন-পত্নী শ্রীজা
এ প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেন, 'আমরা এমন সময়ে বাস করছি, আপনাকে চেনেন না এবং আপনার কাজএর বিষয়ে জানেন না এমন সব মানুষও আপনার বিচার করবে। কিন্তু তাঁরা কি আদৌও গুরুত্বপূর্ণ?' কিন্তু এই অহেতুক নেতিবাচক মন্তব্যে তিনি কতটা বিরক্ত? পডকাস্টে তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তো কারুর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারব না, তাই এইসব আমাকে প্রভাবিতও করে না।'
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামকে স্বামীকে আনফলো শ্রীজার, মুছলেন ছবি, বিচ্ছেদ জল্পনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অর্জুন
রাজীব তাঁর দিকটিও বলেন, তাঁর লেখার প্রকৃতি নিয়েও বলেন। তিনি প্রায়শই বিনোদন জগৎ নিয়ে নানা লেখা লেখেন পেশাগত তাগিদে। এটি কোনও ব্যক্তিদের ক্ষতি করার জন্য তিনি করেন না। কিংবা কোন ব্যক্তির বিপরীতে দর্শকদের প্রভাবিত করার হাতিয়ার হিসেবেও নিজের লেখাকে ব্যবহার করেন না। তিনি বলেন, 'আমি গণমাধ্যমে প্রবন্ধ লিখতাম, সেখানে অনেক বিষয় নিয়েই আমাকে লিখতে হয়। সেখানে অনুমানের ভিত্তিতেও কিছু লেখা লিখতে হয়। এটাও সেরকমই একটি লেখা, এই লেখাটা কি কোনও ভাবে ক্ষতিকর ছিল? সেগুলি কি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে? আমি তা মনে করি না।'