‘হাম তুম’, ‘ফানা’- এর মতো একাধিক হিট সিনেমা সকলকে উপহার দিয়েছেন যিনি, তিনি হলেন কুণাল কোহলি। শুধু তাই নয়, সইফ আলি খানের সঙ্গে ‘হাম তুম’ এবং ‘থোড়া পেয়ার থোড়া ম্যাজিক’ সিনেমায় কাজও করেছিলেন তিনি। বক্স অফিসের পরিসংখ্যান এবং ব্লক বুকিং নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল পরিচালককে।
আলেনা ডিসেক্ট Youtube শোয়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযোজকরা সিনেমা রিলিজ হওয়ার পর নিজেরাই টিকিট কিনে নেন। প্রযোজকরা নিজেদের অর্থ দিয়ে টিকিট কেটে নিলে বক্স অফিস ফুল দেখায়, মানুষ ভাবে সেই সিনেমাটি হিট এবং তারপর মানুষ সিনেমাটি দেখতে যায়। তবে আমার মনে হয় এটা করার কোনও প্রয়োজন নেই।
কুণাল বলেন, পরিচালক এবং প্রযোজকদের উচিত বাস্তব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া। কোনও সিনেমা যদি না চলে, সেটাও মেনে নেওয়া উচিত। টিকিট কিনে নেওয়ার মতো কৌশল অবলম্বন করা উচিত নয়। এমন কাজ করলে শিল্পীরা কোনও দিনই নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ‘স্টার বলে ভাইয়ের বিয়েতে নাচব না?’ বরবেশে সিদ্ধার্থ, ফাটিয়ে নাচ প্রিয়াঙ্কার! ‘জাতীয় জিজু’ নিক কই?
আরও পড়ুন: 'নিজের গুণে পরিচিত হও', বারবার অরিজিৎকে নকল! ইন্ডিয়ান আইডলে প্রিয়াংশুকে হুঁশিয়ারি বিশালের
পরিচালক বলেন, এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। আমি সিনেমা তৈরি করব, আবার নিজেরাই টিকিট কেটে নেব। এটা তো আমাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে। এটা শুধুমাত্র তারকাদের খুশি করার জন্য করা হয়, যা ভীষণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
পরিচালক আরও বলেন, একটা সিনেমা যদি মানুষের ভালো লাগে তাহলে তাকে আলাদা করে হিট প্রমাণিত করতে হয় না। ধরুন পুষ্পা বা স্ত্রী, এগুলি এমন সিনেমা যা এমনিতেই মানুষ দেখতে গেছে। টিকিটের জন্য মারামারি করতে হয়েছে। আলাদা করে, ব্লক বুকিং করতে হয়নি।
কুণালের মতে, ৮০ বা ৯০ শতকের এমন কিছু সিনেমা রয়েছে যা আজও মানুষের ভীষণ কাছের। শোলে বছরের পর বছর ধরে সিনেমা হলে চলে। অনেক সিনেমা রয়েছে যা বহু বছর পর সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে, মানুষ দেখতেও যাচ্ছে। ভালো সিনেমা তৈরি করাই একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, সিনেমার গল্প এবং শিল্পীদের কাজ যদি ভালো লাগে তাহলে মানুষ এমনিতেই যাবে।
আরও পড়ুন: ভারত ছেড়ে এবার পাকিস্তানে জন আব্রাহাম,আসছে ‘দ্যা ডিপ্লোম্যাট’, টিজারে মুগ্ধ নেটপাড়া
আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর মুম্বই ফিরলেন কাজে, 'ইংরেজি শিখতে পারলাম না...', আক্ষেপ সেলিনা জেটলির
কেরিয়ারে ব্যর্থতার কথা বলতে গিয়ে কুনাল বলেন, ২০১২ সালে শাহিদ কাপুর এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত ‘তেরি মেরি কাহানি’ দুর্দান্ত সংগীত এবং ভিজুয়াল থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটি মানুষ পছন্দ করেন নি। এই ছোট ছোট হার মেনে নেওয়া দরকার, তবেই পরে যুদ্ধের জন্য তৈরি হওয়া যাবে।