'গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি'-তে আলিয়া অভিনীত চরিত্র নিয়ে এবার মুখ খুললেন ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি স্বয়ং। সঙ্গে ছবিতে আলিয়া ভাটের বলা একটি জনপ্রিয় সংলাপের কথাও নিজের বক্তব্যের মধ্যে পেশ করলেন তিনি। সেই গরম গরম সংলাপের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ' পতিতাবৃত্তি ছাড়া সমাজ স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে না।' প্রসঙ্গত,ষাটের দশকে গোটা কামাঠিপুরার কর্ত্রী ছিলেন গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি। খুব অল্প বয়সে জোড় করে যৌনবৃত্তিতে নামানো হয়েছিল তাঁকে। এর পর সেই গঙ্গুবাই হয়ে ওঠেছিলেন মুম্বইয়ের সবচেয়ে বৃহৎ পতিতালয়ের হর্তাকর্তা বিধাতা। কিন্তু জোড় করে যে সব মেয়েদের এই পেশায় ঠেলে দেওয়া হত তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল তিনি।
'গঙ্গুবাঈ'-এর চরিত্রে যেভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন আলিয়া, সেই ব্যাপারেও অকুন্ঠ তারিফ করেছেন বনশালি। ভ্যারাইটি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ' এক প্রতিষ্ঠিত, উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তান আলিয়া। তাঁর জীবন-যাপন বরাবরই আর পাঁচজন সাধারণ মধ্যবিত্তদের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। সেই মানুষের কাছে গঙ্গুবাঈ চরিত্রটি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর পৃথিবীর বিপরীত মেরুর এক বাসিন্দা। তাই আমরা চেষ্টা করেছিলাম, এই চরিত্রে অভিনয় করাকালীন আলিয়া যেন সামান্য নীচু গলায় কথা বলে কারণ এমনিতে একটু বেশ জোরেই কথা বলে সে। এছাড়া আলিয়ার চাউনি কেমন হবে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলেছিল। চেষ্টা করেছি গঙ্গুবাঈয়ের ব্যক্তিত্ব যেন তাঁর চাউনির মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছিলাম, কত তাড়াতাড়ি এই চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। অক্ষরে অক্ষরে আমাদের নির্দেশ দ্রুততার সঙ্গে মেনে নিয়েছিল।'
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে আলিয়া ভাটের বহু প্রতিক্ষীত ছবি ‘গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়ারি’র ট্রেলার। আর সেখানে আলিয়াকে দেখেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন পরিবার থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু ও পরিবাররা। ট্রেলার নিয়ে প্রশংসা করতে ভোলেননি দীপিকা-ক্যাটরিনারাও।
এস হুসেন জাইদির লেখা বই 'মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই' থেকে জানা যায়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবার হিসাবরক্ষকের সঙ্গে গঙ্গা হরজীবনদাস কাথিওয়াড়ি গুজরাত থেকে মুম্বইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু প্রেমে ধোঁকা খেতে হয়েছিল এই কিশোরীকে। বিয়ে করেও স্বামী তাঁকে বিক্রি করে দেয়। ডন করিম লালার একাধিক গ্যাং মেম্বার তাঁকে বারবার ধর্ষণ করে। তবুও হাল ছাড়েননি গঙ্গুবাঈ । ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষমেষ করিম লালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গঙ্গুবাঈ। তাঁর এই অদম্য মনোভাব জয় করে নিয়েছিল করিম লালার মন। তাঁকে নিজের বোনের সম্মান দেয় করিম লালা। এরপরই কামাঠিপুরায় একটি গণিকালয় শুরু করেন গঙ্গুবাঈ । আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি বক্স অফিসে মুক্তি পাবে এই ছবি।