ফের বড় ধাক্কা রিয়া চক্রবর্তীর। বম্বে হাইকোর্টকে সিবিআই জানাল সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং ও মীতু সিংয়ের বিরুদ্ধে রিয়ার তরফে দায়ের করা এফআইআর ‘জলঘোলা করার চেষ্টা মাত্র ও সেটি আইনানুগ নয়’। বুধবার রিয়ার এফআইআরের বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সুশান্তের দুই দিদি এবং চিকিত্সক তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ আনেন রিয়া।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে অভিনেতার দিদিদের বিরুদ্ধে এফআইআরে যে অভিযোগ রিয়া এনেছেন তা 'অনুমানমূলক এবং কল্পনাপ্রসূত'। এই অভিযোগগুলি বর্তমানে জারি থাকা তদন্তেরই অংশ হতে পারে।
তদন্তকারী সংস্থা আরও জানায় মুম্বই পুলিশ এবং রিয়া চক্রবর্তীর সুশান্তের মৃত্যু সম্পর্কিত কোনও তথ্য সিবিআইকে দেওয়ার হত তা হলে সরাসরিভাবে সিবিআইয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেত। এর জন্য বান্দ্রা পুলিশ থানায় এফআইআর দায়ের করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।
সুশান্তের মৃত্যু মামলায় দেশের তিনটি প্রধান তদন্তকারী সংস্থা রিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে রিয়া বম্বে হাইকোর্টে সুশান্তের দুই দিদির তরফে দায়ের এফআইআর খারিজের পিটিশনের বিরোধিতা করে অ্যাফিডেভিট জমা দেয়। রিয়া জানান, সুশান্তের জন্য ভুয়ো প্রেসক্রিবশন জোগাড় করার জন্য দায়ী মীতু ও প্রিয়াঙ্কা এবং দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিত্সক তরুণ কুমার।
এনসিবির হাতে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারির মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে দায়ের বান্দ্রা পুলিশ থানায় সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রিয়া, যা মুম্বই পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে।
হলফনামায় রিয়া বলেন ৮ জুন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা সিং ওই প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছিল। যেখানে নেক্সিটো (৫ মিলিগ্রাম), লিব্রিয়াম (১০ মিলিগ্রাম) এবং লোনাজেপ (০.৫ মিলিগ্রাম) সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন।
আইনজীবী মাধক থোরাটের মাধ্যমে দাখিল করা পিটিশনে সুশান্তের দিদিরা আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদেরকে কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ী করা যেতে পারে না কারণ সেই অভিযোগের ভিত্তি একমাত্র একটি প্রেসক্রিবশন যা এক চিকিত্সকের দেওয়া এবং এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ জাজমেন্ট মেনে চলা বাধ্যতামূলক। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন অনুসারে প্রথম কনসালটেশনে ওই ওষুধ দেওয়া যায় এবং ওইগুলির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি নেই।
এদিন সিবিআই সুশান্তের দুই দিদির পিটিশনের সমর্থন জানিয়ে হলফনামা জমা দিল বম্বে হাইকোর্টে।