Betting Apps: বেটিং অ্যাপ ও জুয়ার প্রচার! রানা দগ্গুবাতি, বিজয় দেবেরাকোন্ডা সহ একাধিক তারকার বিরুদ্ধে FIR

অভিযোগ, বিভিন্ন বেটিং প্ল্যাটফর্মের প্রচারের জন্য এই সেলিব্রিটিরা মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন। তাঁদের কারণেই ক্ষতিগ্রস্থ গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার।

অবৈধ বেটিং ও জুয়ার অ্যাপ প্রচারের অভিযোগে ২৫ জন সেলিব্রিটি এবং প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তেলেঙ্গানা পুলিশ। এই FIR-এ নাম রয়েছে র মতো জনপ্রিয় তারকা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বেটিং অ্যাপের প্রচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

জানা যাচ্ছে, ৩২ বছর বয়সী ব্যবসায়ী পিএম ফণীন্দ্র শর্মার আবেদনের ভিত্তিতে হায়দরাবাদের মিয়াপুর থানায় চলতি বছরের ১৯ মার্চ FIR দায়ের করা হয়। এই অভিযোগে ১৮৬৭ সালের পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট লঙ্ঘনকারী অবৈধ জুয়ার অ্যাপের প্রচারে সেলিব্রিটি ও প্রভাবশালীদের প্রবণতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

ফণীন্দ্র দাবি করেছেন, যে ১৬ মার্চ তিনি স্থানীয় বেশকিছু যুবকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বুঝতে পারেন অনেকই এই জুয়ার অ্যাপগুলিতে তাঁদের অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য প্রভাবিত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা যেগুলির বিজ্ঞাপন করছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, এই সেলিব্রিটিরা বিভিন্ন বেটিং প্ল্যাটফর্মের প্রচারের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ নেন। আর তাঁরাই এই অ্যাপগুলির ব্যবহারকারীদের কষ্টার্জিত অর্থে জুয়া খেলতে উৎসাহিত করেন। ফণীন্দ্র জানান, তিনি নিজেই এই প্ল্যাটফর্মগুলির একটিতে বিনিয়োগে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর পরিবার তাঁকে সম্ভাব্য আর্থিক বিপদের বিষয়ে সতর্ক করে, তারপরই তিনি বিষয়টি থেকে সরে আসেন।

এই মামলায় রানা দাগ্গুবাতি প্রকাশ রাজ, বিজয় দেবেরাকোন্ডা, লক্ষ্মী মাঞ্চু, প্রণীথা, নিধি আগরওয়াল, অনন্যা নাগেলা, সিরি হনুমান্থ, শ্রীমুখী, বর্ষিনী সৌন্দরাজন এবং আরও অনেকের বিরুদ্ধে অবৈধ জুয়ার অ্যাপ প্রচারের অভিযোগ রয়েছে।

পিটিশনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে এই অ্যাপস ও প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করছে, বিশেষত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে সহজেই অর্থের উপার্জনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে দেওয়া হচ্ছে। আর এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রায়শই বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরির জন্য সেলিব্রিটিদের উপর নির্ভর করে, যার ফলে দুর্বল ব্যক্তিরাও প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করে, পরে তাঁরা আর্থিক ধ্বংসের মুখোমুখি হয়।

তেলেঙ্গানা পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে টিএস গেমিং অ্যাক্ট ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ (ডি) ধারা সহ আইটি আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে, যা প্রতারণা এবং পরিচয় চুরির সাথে সম্পর্কিত। এফআইআর-এ বেআইনি বেটিং কার্যকলাপের প্রচারের বিষয়েও বিভাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তদন্তটি এখন অফিসার জি রমেশ নাইডু পরিচালনা করছেন।

মিয়াপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক কে ক্রান্তি কুমার বলেন, 'এই তদন্ত ক্ষতিকারক জুয়া এবং বেটিং প্ল্যাটফর্ম থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়, যা আর্থিক লাভের জন্য ব্যক্তিদের শোষণ করে।