মধ্যরাতে মুম্বইয়ে গায়ক শানের বহুতলে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার ভোরে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে গায়ক শানের বান্দ্রার ফরচুন অ্যাপার্টমেন্টে, একটা আবাসিক ভবনে এই আগুন লাগে বলে জানা যাচ্ছে। সেই বাড়ির জানালা দিয়ে কালো ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
ঘটনার খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ১০টি গাড়ি। সেখানে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে কীভাবে এই আগুন লাগল? কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবিষয়ে বিস্তারিত এখনও কিছুই জানা যায়। সংবাদ সংস্থা ANI-এর ভিডিয়োতে শানের ওই অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। শট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, বান্দ্রার ফরচুন অ্যাপার্টমেন্টে ১১ তলায় থাকেন গায়ক শান। আর ওই বিল্ডিং-এর ৭তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ১.৪৫ নাগাদ ওই বহুতলে আগুন লেগেছিল। এই ঘটনায় সেসময় ওই আবাসনে অনেকেই আটকে পড়েন। ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা বাসিন্দাকে ওই আবাসনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মুম্বইয়ের আরও একটা জায়গায় আগুন লেগেছিল, সেটা ছিল মানখুর্দ-এর একটি বস্তি অধ্যুষিত এলাকার একটা বাতিল জিনসপত্রের গোডাউন। ওই ঘটনাতেও হতাহতের কোনোও খবর মেলেনি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ মান্ডালা এলাকার আয়াপ্পা মন্দিরের কাছে ওই গোডাউনে আগুন লাগে। মুম্বই পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, দমকলের চারটি ইঞ্জিন ও অন্যান্য গাড়ি গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মুম্বইয়ের এক বহুতল ভবনে আগুন লাগে। ঘটনায় জখম হন এক মহিলা দমকলকর্মী ও আবাসনের তিন বাসিন্দা। অগ্নিনির্বাপণ অভিযানের সময় ডোংরি এলাকার ওই 'আনসারি হাইটস' আবাসিক ভবন থেকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তবে ১৪ তলার ওই ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা যায়, সেই আগুন আবাসনের নিচ ও উপরের স্তরে ছড়িয়ে পড়ে।
এক পুরআধিকারিক জানিয়েছিলেন, আবসনের সিঁড়ি ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যাওয়ায় পালানোর কোনও উপায় না। আর তাই ২৭ জন বাসিন্দা ওই বহুতলের ছাদে আটকা পড়েন। বিকেল ৫টার দিকে আগুন নেভানোর পর ছাদ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ওই আবাসনের তিন মহিলা জখম হয়েছেন বলে জানা যায়। দমকল কর্মী জামদাদে ও নাসির আনসারিকে ১৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মহারাষ্ট্র সরকার পরিচালিত জেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে।