ইন্দো-কানাডিয়ান পাঞ্জাবি গায়ক এপি ধিলোনের কানাডার বাড়ির সামনে চলল গুলি! কানাডার ভ্যানকুভারের ভিক্টোরিয়া আইসল্যান্ডে থাকেন এপি ধিলোন। সেইখানেই রবিবার গভীর রাতে গুলি চলার ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যাচ্ছে, লরেন্স বিষ্ণোই-রোহিত গোধারা গ্যাং-এই হামলার দায়ভার নিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও কোনওরকম আনুষ্ঠানিক বিকৃতি সামনে আসেনি। কোনওরকম তথ্য মেলেনি কানাডা পুলিশের তরফেও।
সোশ্যাল মিডিয়াতে যে বিষ্ণোই ও গোধরা গ্যাং-এর হুমকি বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ১লা সেপ্টেম্বরের রাতে কানাডার দুটি লোকেশনে গ্যাং-এর তরফে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে—একটি ভিক্টোরিয়া আইসল্যান্ড এবং অন্যটি উডব্রিজ, টরেন্টো। বলিউড অভিনেতা সলমন খানের সঙ্গে এপি ধিলোনের ঘনিষ্ঠতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বার্তায়। স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘নিজের সীমার মধ্যে থাকো, না হলে কুকুরের মতো মারব’।
সলমনের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় মাস খানেক আগে কেঁপে উঠেছিল শহর মুম্বই! ১৪ই এপ্রিল কাকভোরে সলমনের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি।
ভোর ৪টে ৫৫ মিনিট নাগাদ একটি মোটরবাইকে করে আসা দু'জন ব্যক্তি অভিনেতার অ্যাপার্টমেন্টের দোতলার ব্যালকনিতে গুলি চালিয়েছিল। গোপন জবানবন্দিতে সলমন মুম্বই পুলিশকে জানান, এর আগেও নায়ক ও তার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং-এর তরফে।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তার ভাই আনমোল বিষ্ণোই ফেসবুক পোস্টে এই হামলার দায় স্বীকার করে। সলমনের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাং-এর শক্রুতা বহু পুরোনো। কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের পরম আরাধ্য এই কৃষ্ণসার হরিণ। প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে সলমনকে অন-ক্যামেরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই।
২০২২ সালে সলমনের বিল্ডিংয়ের উল্টোদিকের একটি বেঞ্চে একটি হুমকি চিঠি পাওয়া যায়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একটি হুমকি ইমেল পেয়েছিলেন সলমন। গুলি চালানোর ঘটনার পর আঁটোসাটো করা হয়েছে অভিনেতার নিরাপত্তা।
সলমনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েন ভিকিকুমার গুপ্তা, সাগরকুমার পাল, সনুকুমার বিষ্ণোই, অনুজকুমার থাপন (বর্তমানে প্রয়াত), মহম্মদ রফিক চৌধুরী এবং হরপাল সিং। গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেন অনুজকুমার। বাকি পাঁচজন বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।
পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডেও উঠে এসেছিল জেলবন্দি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম।
কিছুদিন আগে কলকাতার আরজি করের চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ-হত্যা মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এপি ধিলন। সংগীতের মাধ্যমে তার বেদনা প্রকাশ করেন গায়ক। গানে গানে তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন নারীদের নিরাপত্তা ও শান্তির দাবিতে মিছিল প্রয়োজন।