করোনার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে নিয়ম মেনে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে টলিপাড়া। কোভিড বিধি মেনেই একে একে শুরু হয়েছে বিভিন্ন বাংলা ধারাবাহিক ও রিয়েলিটি শোয়ের শুটিং। থেমে নেই বিজ্ঞাপন জগতও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের শুটিং সেরে ফেলেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। পড়ে থাকা ছবির কাজও ফের শুরু করার তোড়জোড় শুরু করেছেন। সদ্য পরিচালক নীল দাশগুপ্তের নির্দেশনায় তুলিকা বসুর সঙ্গে জুটি বেঁধে সারলেন এক বিজ্ঞাপনের শুটিং। সেসব সেরেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হলেন এই ত্রয়ী।
বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে বসেছিল এই বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের আসর। পরিচালক নীল দাশগুপ্তের নিপুণ নির্দেশনার গুণে একদিনেই শেষ করে ফেলা গেছে এই বিজ্ঞাপনের শুটিং। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি গোটা টিম। এই বিজ্ঞাপনে একজন রাজা ও রানি সেজেছিলেন খরাজ এবং তুলিকা। নীলের পরিচালনায় কাজ সেরে যে দুই অভিনেতাই বেশ খুশি তা টের পাওয়া গেল তাঁদের কথাতেই। 'নীল এত যত্ন করে পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে দেয় যে আর কোনও অসুবিধে হয় না। কাজ করতে ভারি সুবিধে হয়', জানালেন খরাজ। অভিনেতার কথার সুর শোনা গেল তুলিকার কথাতেও,' কোভিড বিধি মেনে পুরো শুটিংটা তো নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সারা তো হয়েইছে, তবে নীল যেভাবে চটপট কাজ মিটিয়ে ফেলতে পারে তা দেখে অবাক হতে হয়। ভীষণ গুছিয়ে কাজ করে ও।' খরাজ অবশ্য নিজের সহ অভিনেত্রীর প্রশংসা করতেও ভোলেননি। খোলা গলায় জানালেন যে তুলিকা সেটে থাকলে সবার সঙ্গে গল্প, হাসি ভাগ করে মন ভালো করে দেয়।
এই বিজ্ঞাপনে রাজা, রানির ভূমিকায় অভিনয় করার সুবাদে খরাজ ও তুলিকাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বাস্তবে যদি সত্যিই এই আসনে বসতেন তাঁরা তাহলে কী কী ইচ্ছেপূরণ করতেন তাঁরা। এবিপি লাইভের এই প্রশ্নে খরাজের জবাব ছিল তাঁদের পেশাটাই এমন যে শুধু রাজা, রানি কেন কোনওকিছু হওয়ার সাধই অপূর্ণ থাকে না। রোজ রং মেখে নতুন নতুন সব চরিত্র সাজেন তাঁরা। ফলে প্রতিদিনই হোলি তাঁদের। শুধু রাজা নয়, বরং ফকিরও সেজেছেন তিনি। এমনকি প্রয়োজনে রানিও! অন্যদিকে ছোট্ট করে তুলিকার জবাব, 'রানি হলে লকডাউন শব্দটাকেই পুরোপুরি ভ্যানিস করে দিতাম।'
সবার শেষ মুখ খুললেন পরিচালক। প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়দের মতো তাবড় তাবড় সব ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করেছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না রেখে স্পষ্ট করে তিনি জানালেন করণের ফলে আর পাঁচটা কাজের জায়গার মতো ক্ষতির মুখ দেখেছে বিজ্ঞাপন জগৎ। তবে হাজার অসুবিধে, বাধা থাকলেও এ রাজ্য ছেড়ে মুম্বইতে গিয়ে কাজ করতে নারাজ তিনি। বরং বাংলার অভিনেতা,অভিনেত্রীদের নিয়েই কাজ করতেই বেশি আগ্রহ তাঁর।