সুপারহিট দক্ষিণী ছবি 'বিক্রম বেদা'-র রিমেক হতে চলেছে তা জানা গেছিল গত বছরই। প্রথমদিকে এই ছবিতে মুখ্যভূমিকায় ও সইফ আলি খানের নাম শোনা যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছিল গোটা বলিউড। আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ছবি অনুরাগী দর্শকরাও। তবে এর কিছুদিন পরেই জানা যায় এই ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন আমির। গত সপ্তাহে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে 'বিক্রম বেদা'-র এই রিমেকে আমিরের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় এন্ট্রি নিয়েছেন হৃত্বিক রোশন। এই রিমেকে পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে সইফকে এবং একটি ধূসর গ্যাংস্টারের চরিত্রে দেখা যাবে হৃত্বিককে। তা কেন এই ছবি থেকে বেরিয়ে গেলেন ' মিঃ পারফেকশনিস্ট '? ছবি নির্মাতাদের তরফে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটা ছিল। তবে এক সূত্রের মাধ্যমে সদ্য জন্য গেছে 'বিক্রম বেদা' ছেড়ে দেওয়ার নেপথ্যে 'আমিরি কারণ'।
জানা গেছে, ছবির অরিজিনাল ভার্সনটি আমিরের পছন্দ হওয়াতে এই রিমেকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমদিকে মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এরপর বাধ সাজে চিত্রনাট্য। আমির চেয়েছিলেন এই কপ-গ্যাংস্টার ড্রামার রিমেকের পটভূমিকা রাখা হোক হংকং-য়ে।বলিউডের ' মিঃ পারফেকশনিস্ট '-এর ইচ্ছে ছিল যে একদম হলিউড ধাঁচের হংকং গ্যাং ওয়ার ড্রামা এবং সেই ধরনের টানটান অ্যাকশন। এই ' সাজেশন '-এর পিছনে আমিরি যুক্তি ছিল, এই ধরনের ছবি হলে তা একদিকে যেমন ছবিটিকে দুর্দান্ত উচ্চতায় নিয়ে যাবে তেমনই চীন ও বাকি এশিয়া উপমহাদেশীয় দেশে যেখানে এই ধরনের ছবির বাজার রয়েছে সেখান থেকেও মোটা লাভ করা যাবে। পাশাপাশি চীনা ছবির বাজারে আমিরের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া সেকথা সর্বজনবিদিত। স্বাভাবিকভাবেই আমিরের যুক্তি মনে ধরেছিল ছবি প্রযোজনা সংস্থার। সেইভাবে ছবির চিত্রনাট্য লেখাও শুরু হয়েছিল নতুন করে। একাধিকবার আমিরের সঙ্গে মিটিংয়েও বসেন তাঁরা। তবে এরপরেই অতর্কিতে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি লাদাখে চীন-ভারত সংঘর্ষে সব পরিকল্পনা ওলোটপালোট হয়ে যায়। বলাই বাহুল্য, চীনা বাজারের কথা মাথায় রেখে এরপর আর এই ছবি তৈরির ভাবনা থেকে সরে আসেন প্রযোজক কর্তৃপক্ষ। সবকিছু দেখে তাই শেষমেশ সরে আসন আমির।