সম্প্রতি ফসিলস ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য তথা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় বেসিস্ট চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের মৃত্যুতে বাংলা ব্যান্ডের জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, এটাই প্রথমবার নয়, গত ডিসেম্বর মাসেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'কাজটা মোটেই ঠিক হল না, সবটা...' ভোটের নিরিখে ইন্ডিয়ান আইডল থেকে বাদ বাংলার সৃজন! চটে লাল অনুরাগীরা
আরও পড়ুন: মেটেনি সেলফির আবদার, স্যার বকুনি দিতে খাদান দেখে ফিরেই আত্মহত্যা! ছাত্রের মা বললেন, 'অপমানটা...'
কী জানা গিয়েছে চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের বিষয়ে?
২০১৮ সালে ফসিলস থেকে সরে আসেন চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস। পরবর্তীতে যুক্ত হন দুটো নতুন ব্যান্ডের সঙ্গে। কিন্তু তেমন ভাবে শো পেত না সেই ব্যান্ডগুলি। এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার দ্বারস্থ হলেও শো পায়নি চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস শেষ সময় পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন যে দুই ব্যান্ডের সব তার একটি, গোলক ব্যান্ডটি। এমনকি সেই সংস্থার কর্ণধার চন্দ্রমৌলির ফোন কেটে দিতেন বলেও জানানো হয়েছে এই সময়ের একটি রিপোর্টে। সেই নতুন ব্যান্ডে অরিজিন্যাল গানের সংখ্যা ছিল কম। মাত্র ৫টি গান ইউটিউবে রিলিজ হয়েছে। চলতি মাসের ১৭ তারিখ আরও একটি মিউজিক ভিডিয়ো আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেন চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস। তবে কি একদিকে ফসিলস থেকে সরে আসা এবং অন্যদিকে নতুন ব্যান্ড সেই ভাবে শো না পাওয়ায় অবসাদে ভুগতে শুরু করেন চন্দ্রমৌলি? উঠছে প্রশ্ন।
চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের বোন তথা চিকিৎসক মহুয়া জানিয়েছেন ২০১৮ সালে ফসিলস থেকে বেরোনোর পরই গুটিয়ে গিয়েছিলেন ফসিলসের প্রাক্তন বেসিস্ট। এমনকি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর্বের সময়ও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যান তিনি। সঙ্গে তিনি যেটা করে ভালো থাকতেন, সেই গান বাজনা, শো সেগুলোর পরিমাণও কমে যায়।
জানা গিয়েছে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন চন্দ্রমৌলি। কিন্তু তখন তাঁর বাবা মা সচেতন থাকায় বিপদ এড়ানো যায়। তাঁর বোন এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর যেদিন দুর্ঘটনাটি ঘটে সেদিন তাঁদের সবার মহুয়ার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা মাকে ট্যাক্সিতে তুলে দিলেও নিজে যাননি চন্দ্রমৌলি। অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে থেকে যান।
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে ১৫ কোটির গণ্ডি পেরোতেই আন্তর্জাতিক সফরে খাদান! কোন দেশে মুক্তি পাচ্ছে দেবের ছবি?
চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ফসিলস ব্যান্ডের সকলেই। কল্যাণীতে শো করতে গিয়ে এই খবর পেয়ে মঞ্চেই কেঁদে ফেলেন রূপম, অ্যালেনরা।