গত মাসের গোড়ার দিকেই ধুমধাম করে রিয়াসদিন শেখ মহম্মদকে বিয়ে করেন এ আর রহমানের আদুরে মেয়ে খাতিজা। কিন্তু কাজের ব্যস্তার জেরে এতদিন বিয়ের ওয়ালিমা বা রিসেপশন পর্ব সাড়া হয়ে ওঠেনি। শুক্রবার মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য এলাহি দাওয়াতের আয়োজন করেছিলেন অস্কার জয়ী সংগীত পরিচালক। এদিন চেন্নাই ইন্ডাস্ট্রির কাছের বন্ধু ও পরিবারের উপস্থিতিতে খাতিজা এবং রিয়াসদিনের গ্র্যান্ড রিসেপশন সুসম্পন্ন হল।
এ আর রহমানের মেয়ের বিয়ের রিসেপশন বলে কথা, সেখানে গান থাকবে না তাও কী হয়? একাধিক সঙ্গীত শিল্পী এদিন লাইভ পারফর্ম করে। সুরেলা সন্ধ্যা জমে উঠেছিল সোনু নিগম, হানি সিং-এর ঝলমলে উপস্থিতে। পৌঁছেছিলেন ‘দিল সে’ নায়িকা মণীশা কৈরালাও।
এই বিশেষ দিনে খাতিজা সেজেছিলেন বেগুনি রঙা লেহেঙ্গায়। এদিনও হিজাব পরতে ভোলেননি খাতিজা। অন্যদিকে রিয়াসদিনের দেখা মিলল কালো রঙা স্যুট, সঙ্গে ছিল কালো রঙের বো-টাই। মেয়ের রিসেপশনে হাসি মুখে পোজ দিতে দেখা গেল এ আর রহমানকে, তাঁর পরনে ছিল ঘন নীল কুর্তা-পাজামা এবং নীল জ্যাকেট।
প্রযোজক সন্দীপ সিং, প্রাক্তন বলিউড অভিনেতা সাহিল খানেরও দেখা মিলল এদিনের আসরে। গত ৫ই মে নিকাহ সেরেছিলেন খাতিজা ও রিয়াসদিন। তাজাকিস্তানের বামন গায়ক আবদু রোজিকও হাজির ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। ‘গডফাদার’ এ আর রহমানকে ‘পাপা ক্যায়তে হ্যায় বড়া নাম করেগা’ গেয়ে শোনায় সে।
প্রসঙ্গত, এআর রহমান কন্যা খাতিজাকে নিয়ে এর আগে বহু বিতর্ক হয়েছে। এই যুগে দাঁড়িয়ে সুরকারের মতো বিশ্ববরেন্য এই সুরকারের পরিবারের কোনও মেয়ে কেন বোরখা পরবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল একটা অংশ। এমনকী, রহমানের উপরেও অভিযোগ আনা হয়েছিল মেয়েকে পর্দানশীন রাখার। যদিও পরে খতিজা ও রহমান দু'জনেই বিবৃতি দিয়ে জানান, এটা সম্পূর্ণ ভাবে খাতিজার নিজস্ব পছন্দ। এর পিছনে পরিবারের কোনও হাত নেই।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এনগেজমেন্ট হয় খতিজা আর রিয়াসদিনের। বাবার মতো খতিজাও রয়েছেন সংগীত জগতে। একাধিক গান গেয়েছেন। আর অন্যদিকে এ আর রহমান লাইভের একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার খাতিজার বেটারহাফ।