আজ ‘দেশনায়ক’ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী। বাঙালির কাছে সুভাষচন্দ্র বসু শুধু একটা নাম নয়, একটা আবেগ। আর নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে এই কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধার্ধ অপর্ণ করল টলিগঞ্জ। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মেছিলেন সুভাষচন্দ্র। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আর বাঙালি জাতির এই অবিসাংবাদিত নেতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ স্মরণ করে নিলেন মিমি-নুসরত-আবির-প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়রা।
নুসরত ইনস্টাগ্রামে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানের মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘দেশনায়ক, বাংলার বীর সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার শ্রদ্ধা’। মিমি চক্রবর্তী সুভাষচন্দ্রের একটি উদ্ধৃতি লিখে তাঁকে স্মরণ করে নেন। জীবনের অর্ধেক মানেটাই অর্থহীন হয়ে পড়ে যদি সেখানে স্ট্রাগল জড়িয়ে না থাকে, যদি কোনওরকম ঝুঁকি না নেওয়া হয়।
রুপোলি পর্দায় নেতাজির ভূমিকায় দর্শক তাঁকে দেখেছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গুমনামী ছবিতে প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় নিজের অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন। আজ নেতাজিকে স্মরণ করে বুম্বাদা লিখলেন, ‘সাহস আর আত্মত্যাগের মূর্ত প্রতীক নেতাজি’।
আবির চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে লেখেন- 'সত্যের নায়ককে প্রণাম ও শ্রদ্ধা'। সুভাষের ছবি শেয়ার করে শ্রাবন্তী লেখেন- ‘ওনার নাম এবং লড়াই করার ক্ষমতাই আমাদের মত সকল ভারতীয়কে অনুপ্রেরণা জোগায়। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্মবার্ষিকীতে শত কোটি প্রণাম’।
নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্রের তরফে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে উদযাপন করা হচ্ছে, তবে রাজ্য সরকার এইদিনটা ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালন করছে। পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রকে অবশ্যই ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।’