প্রতিবারে মতো এই বছরও একুশের সভামঞ্চে টলিউড তারকাদের আলো ছিল। মমতার ডাকে শহীদ স্মরণে হাজির সংসাদ দেব, সায়নী, রচনা থেকে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সায়ন্তিকারা। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এদিন আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এলেন শ্রাবন্তী।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন শ্রাবন্তী। পরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। মমতার সঙ্গে দূরত্ব মিটেছিল আগেই, এবার সরাসরি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে প্রত্যাবর্তন নায়িকার। মমতার মুখেও শোনা গেল শ্রাবন্তীর নাম।
সাদার ভিড়ে কালো শার্টে সভামঞ্চে ঘাটালের সংসাদ। দিদিকে দেখে আর্শীবাদ গ্রহণ করলেন, এরপর চলল সৌজন্য বিনিয়ম পর্ব। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়ারা দিদির আশেপাশে থাকলেন। মঞ্চে দেখা মিলল লাভলি মিত্র, সৌরভ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজীব, রেজওয়ানদের। শ্রাবন্তীর পাশাপাশি আর এক প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী এদিন পৌঁছেছিলেন একুশের সমাবেশে। তিনি আর কেউ নন রিমঝিম মিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে এক কথায় এদিন সেলেবদের ‘ফুল অ্যাটেন্ডেস’। একুশের মঞ্চে পাওয়া গেল মিঠাইরানি অর্থাৎ সৌমিতৃষা কুণ্ডুকেও। সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত সৌমিতৃষাকে বহুবার তৃণমূলের ডাকে সাড়া দিতে দেখা গিয়েছে।
বহরমপুরের পিচে স্ট্রেট ব্যাটে খেলে অধীর চৌধুরীর মতো পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতাকে পরাজিত করেছেন ইউসুফ পাঠান, তাঁকেও এদিন পাওয়া গেল সভামঞ্চে। সাদা পাঞ্জাবি আর তেরঙ্গ উত্তরীয় একদম নেতাসুলভ লুকে কেকেআরের প্রাক্তন তারকা। শ্রীতমা ভট্টাচার্য, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক টেলি তারকা হাজির ছিলেন।
এত তারকার মাঝেও এদিন দেখা মিলল না প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিমি ও নুসরতের। দলের সঙ্গে দুই সুন্দরীর দূরত্ব ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল এদিন। ওদিকে তিন নম্বর বিয়ে বিতর্কের জেরে দলে খানি কোণঠাসা কাঞ্চন। লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তরপাড়ার বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কাঞ্চন হাজির ছিলেন ঠিকই, তবে যাননি শ্রীময়ী। জানা গিয়েছে, গুরুপূর্ণিমার পুজো এবং শ্যুটিংয়ের ব্যস্তাই নাকি এর কারণ। সত্যি কি তাই?
গতবারের পর এবারও গানে গানে মঞ্চ মাতালেন নচিকেতা চক্রবর্তী। বিঁধলেন মোদী সরকারকে। গাইতে শোনা গেল ভূমি খ্যাত সৌমিত্রকেও। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ফের একবার মমতা ম্যাজিক। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আসন জিতে চমক দেখিয়েছেন দিদি। স্বভাবতই এদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হয়ে রইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।