আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা রাজ্য। কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষিতা হয়ে প্রাণ হারালেন! এই দায় কার? হাসপাতালেও মেয়েরা সুরক্ষিত নয়? ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যে নারকীয়তার বিররণ উঠে এসেছে তা ভয়াবহ। চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ওই নির্যাতিতা তরুণী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নাামের বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী।
ঘটনার ভয়াবহতা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টলিউড তারকারাও। ধর্ষিতা-মৃতা তরুণীর বিচার দাবি করে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার শহর কুন্ঠিত বড়, ক্ষমা করো তুমি মেয়ে, পুরুষ বলেই গাইছি এ গান, শুধু মার্জনা চেয়ে…’।
এক মেয়ের মা শ্রীলেখা মিত্র। ফেসবুক পোস্টে শ্রীলেখা লেখেন, ‘ধর্ষণ এবং খুন…কোন মূর্খ ব্যক্তি এটাকে আত্মহত্যা বলছে? অবিলম্বে সেই সব ব্যক্তিদের সাসপেন্ড করা হোক যারা এটা ধামা চাপা দিতে চাইছে। এটা জঘন্য কুকর্ম, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। পরিবার সুবিচার পাক'।
তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনুপম রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সঙ্গীতশিল্পীর প্রশ্ন, ‘বিচার কি কোনওদিন পাওয়া যাবে?’ বরের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন অনুপম-পত্নী প্রশ্মিতাও।
অনুপমের প্রাক্তন পিয়া চক্রবর্তী, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও নির্যাতিতা তরুণীর সুবিচার দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।
জিতু কমলের মতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে হবে, ফেসবুকে বিপ্লব করে কিছু লাভ নেই। তাঁর কথায়-'আবার ৯ই আগস্ট। ফেসবুকে নয়, চলুন রাস্তায় নামি। কোন পতাকা তলায় দাঁড়িয়ে নয়। শুধু ছাত্রীটির মা আর বাবাকে পাশে চাই। খোঁজ নিন বিচার তারাও চাইছে কিনা!'
নতুন সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মৈনাক। তবে এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। অভিনেতা লেখেন, ‘আচ্ছা বলছিলাম ওঁনারা কি নিজের হাতে মোমবাতি বানাচ্ছেন তারপর বেরোবেন?’
টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ প্রথমবর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে ডিনার করেন ওই তরুণী। এরপর সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই ট্রেনি চিকিৎসক। সেখান থেকেই পরদিন সকালে তাঁর অর্ধনগ্ন, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।
ধৃত সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিল। এদিকে একটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছিল সঞ্জয়। জানা যায়, তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহের পাশে ব্লু-টুথের