শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচে জমজমাট রেড রোডের অনুষ্ঠান। এক মাস আগেই তিলোত্তমায় শুরু হয়ে গেল দুর্গা পুজো। ঠিক একমাস পর ১ অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী। আর বৃহস্পতিবার বাঙালির জন্য ছিল এক বিশেষ দিন। দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় আজ ইউনেস্কোর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল তিলোত্তমা। রেড রোডে সংবর্ধনা জানানো হয় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় বিদেশে অতিথিদের।
এদিন রথী-মহারথীদের ভিড়ে অনুষ্ঠানে চোখে পড়ল টলি তারকাদের ঢল। মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুজোর উৎসবে হাজির ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র, সোনামণি সাহা, সৌমিতৃষা কুণ্ডুরা।
এদিন সবুজ ও লাল পাড় হলুদ গরদের শাড়িতে সেজেছিলেন মিমি, লাভলি, কৌশানি, সৌমিতৃষা, সোনামণিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বরণ ডেলা হাতে ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো’ গানের তালে তালে অতিথিদের বরণ করে নিলেন বাংলা বিনোদন জগতের এই সুন্দরীরা।
অন্যদিকে এদিন ডান্স পারফরম্যান্স দিলেন শুভশ্রী ও সায়ন্তিকা। টলিউডের এই দুই সুন্দরীর উপর থেকে এদিন চোখ সরছিল না এমনটা বলাই যায়। ব্যাক স্টেজে একফ্রেমে লেন্সবন্দিও হন মিমি। চলতি বছর কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে গরহাজির ছিলেন মিমি। এমনকী ঘুরিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রাজ চক্রবর্তীর দিকে আঙুলও তুলেছিলেন। মিমিকে নাকি ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। তবে এই খুশির দিনে সব মন কষাকষি ভুলে একসঙ্গে ছবি তুললেন শুভশ্রী-মিমি।
এদিন সায়ন্তিকার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শুভশ্রী লেখেন, ‘আমার ডান্সিং পার্টনার’। কমেন্ট বক্সে সায়ন্তিকা পালটা লেখেন, ‘সেরা ডান্সিং পার্টনার যা আমি পেতে পারি’।
দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রা ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে রেড রোডের দিকে যাত্রা শুরু করে। সেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা। ইউনেসকোকে ধন্যবাদ। সারা বিশ্বকে ধন্যবাদ।’
এদিনের অনুষ্ঠানে যদিও উপস্থিত ছিলেন না দেব এবং নুসরত। নিজের বাড়ির গণেশ পুজো নিয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। নুসরত খুব সম্ভবত শহরের বাইরে।