অন্য বারের থেকে একটু অন্যরকম এবারের ছবি উত্সবের সূচনা। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে তা সম্ভবপর হয়নি। কিন্তু অবশেষে সোমবার থেকে শুরু হল কলকাতার ছবি প্রেমীদের সুখের দিন। প্রথা ভেঙে নেতাজি ইন্ডোর নয়, বরং নজরুল মঞ্চে সাদামাটাভাবে সম্পন্ন হল ছবি উত্সবের উদ্বোধন। এই শুভারম্ভে বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন আসানসোলের নবনির্বাচিত সাংসদ তথা অভিনেতা শক্রুঘ্ন সিনহা। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ টলিপাড়ার একঝাঁক তারকা।

শুধু ভেনু বদল নয়, এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ছিল একদম অন্যরকম। চলচ্চিত্র উত্সবের চেয়ারপার্সন রাজ চক্রবর্তীর ভাবনায় এবার ছবি উত্সবের উদ্বোধনী মঞ্চে ফুটে উঠল বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। লাল মাটির সোঁধা গন্ধ ভেসে এল সায়ন্তিকার নাচের তালে, ছৌ নৃত্য, বাংলার বাউল গান, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজো সবই দিতিপ্রিয়া রায়, দেবলীনা কুমার, মানামিদের পারফরম্যান্সে। কৃষ্ণনাম জপ করলেন কৌশানি, ব্যাকগ্রাউন্ডে অদিতি মুন্সির সুরেলা কন্ঠ। রাজ ঘরণী নৃত্যের তালে তালে বললেন, ‘এই পৃথিবীর একই মাটি, একই আকাশ,বাতাস’।
এদিন সাবেকি সাজে নজর কাড়লেন টলি-সুন্দরীরা। দেখুন তাঁদের সেই গ্ল্যামারাস লুক-
এদিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী-বিধায়ক জুন মালিয়া। এবছর জন্মশতবর্ষে বিশেষ সম্মান জানানো হচ্ছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের তিন প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্ব- সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দা দাশগুপ্ত এবং হাঙ্গেরিয়ান পরিচালক মিকলোস জাঁকোসকে। এবার ছবি উতসবের ফোকাস কান্ট্রি ফিনল্যান্ড। আগামী ২রা মে পর্যন্ত চলবে ছবি উত্সব। এইবার মোট ১০টি প্রেক্ষাগৃহে বিভিন্ন ভাষার মোট ১৬০টি ছবি দেখানো হবে। শোয়ের সংখ্যা ২০০টা ।