বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > দূরদর্শন থেকে স্যাটেলাইট চ্যানেলের ঝটিকা বিপ্লব, মুখ খুললেন অনিন্দ্য সরকার

দূরদর্শন থেকে স্যাটেলাইট চ্যানেলের ঝটিকা বিপ্লব, মুখ খুললেন অনিন্দ্য সরকার

অনিন্দ্য সরকার

ফ্লোরে ঢুকলে আজও তিনিই রাজা। টলিউডের দাপুটে পরিচালক অনিন্দ্য সরকার। তৃষ্ণা, আলোকিত এক ইন্দু, রামকৃষ্ণ-র মত একের পর এক মাইল স্টোন ধারাবাহিক পরিচালনা করেছেন। কম্প্রোমাইজ শব্দটার সঙ্গে আপোষ করেন নি কোনওদিন, তাই আজও ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দু'বার ভাবেন না। আজ প্রাণ খুলে আড্ডা দিলেন HT Banglar সঙ্গে।

অনেক পরিচালকই সরে যাচ্ছেন রানিং প্রজেক্ট থেকে। হাই টিআরপি দেওয়ার পরও কেন এমন ঘটছে?

যিশু দাশগুপ্ত একটা কথা বলতেন, ‘সব ডিরেক্টররা এখন ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়ে গেছে!’। এখন খুব মনে পড়ে সেই কথাটা। কথায় কথায় আজকাল সবাই আমাদের বলেন একটু ম্যানেজ করে নাও। আরে কত ম্যানেজ করব? ওইভাবে কাজ হয় না, ম্যানেজ করার জন্য একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট রয়েছে, সেটা প্রডাকশন ডিপার্মেন্ট। প্রডাকশন ম্যানেজার বিষয়টা ম্যানেজ করে দেবেন, সেই মতো ডিরেক্টর কাজ চালিয়ে যাবেন। এটাই সিস্টেম।

আমি একজন অ্যাক্টরকে অভিনয়টা দেখিয়ে দিতে পারি, সে কোন দিকে তাকাবে, কীভাবে সংলাপ বলবে, কতটা এগিয়ে আসবে, ইত্যাদি। কিন্তু তাঁর হয়ে অভিনয়টা করে দিতে পারি না, কারণ ওটা ওঁর কাজ। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ভূমিকা রয়েছে, প্রত্যেকে যদি নিজের দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করে তাহলেই সুষ্ঠ ভাবে কাজটা উঠে আসে। কিন্তু আমাদের এখানে এটা হয় না। প্রডাকশনের গাফিলতি তো রয়েছেই, আর রয়েছে অনভিপ্রেত সব ইন্টারফেয়ারেন্স! সব জায়গাতেই এমন কিছু মানুষ থাকে তারা নিজে ভাল জায়গায় থাকবে বলে সামনের লোকটাকে কেমন করে ভিলেন বানানো যায় সেই চেষ্টা অনবরত চালিয়ে যায়। এবং দেখা যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিচালকরাই ভিলেন হয়ে ওঠেন!

চরিত্রে ডুবে থাকা
চরিত্রে ডুবে থাকা

মূল সমস্যাটা কোথায়? চাহিদা মেটাতে গিয়ে গুণগত মান বজায় থাকছে না?

এখন টেলিভিশন তার ভোল পালটে ফেলেছে, একটা সময় আমরা যখন টেলিভিশন শুরু করেছিলাম তখন আমি ছিলাম তৃতীয় ডিরেক্টর যাঁদের হাত ধরে মেগা সিয়ারাল মানুষের সামনে এসেছিল। প্রথম বিষ্ণু পাল চৌধুরী, তারপর ইন্দর সেন এবং তারপরই আমি অনিন্দ্য সরকার, ‘তৃষ্ণা’ শুরু করি টেলিভিশনে। এরপর একে একে আসেন যীশু দাশগুপ্ত এবং আমাদের সমসাময়িক আরও অনেকেই । তখন একটা অন্য রকম বাতাবরণ ছিল। পরিচালকরা যুক্ত থাকতেন গল্পের সঙ্গে। যিনি রাইটার তিনি সামনে বসেই লিখতেন। কারা কারা অভিনয় করবেন, কে কোন দায়িত্ব সামলাবেন, শিল্পী নির্বাচন করা থেকে শুরু করে কোন চরিত্র কেমন দেখতে হবে, সে কেমন করে চুল বাঁধবে, কার গোঁফ থাকবে বা থাকবে না, কে কোন ধরণের পোশাক পরবে, ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় গুলো পরিচালককে দেখতে হতো। অর্থাৎ পরিচালক পুরো টিম নিয়ে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। এখন সেই সব কোনওটাই হয় না। সবাই বাড়িতে বসে কাজ করেন। অবশ্যই করোনা পরিস্থিতি বাদ দিয়ে বলছি, ধারাবাহিক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরু দায়িত্ব যাঁদের হাতে তাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলে  চলে না।

এখন এত অল্প সময়ে সময়ে কাজ সারতে হয় সে ক্ষেত্রে লোকজনের প্রয়োজন বেড়েছে। আগে ৫০/৬০টা ব্যাঙ্কিং নিয়ে তবেই টেলিকাস্ট শুরু হতো। কমপক্ষে ৩০টা তো বটেই। ফলে আমরা চাপ মুক্ত হয়ে আগামী এপিসোড গুলো শুট করতাম, এতে একটা এসথেটিক এক্সিলেন্স তো থাকতই, পাশাপাশি কাজের প্রতি একটা আন্তরিকতা ও আনন্দ থাকত। সকলের সঙ্গে কোয়ার্ডিনেশনটা বজায় থাকত। পরের দিনের কাজের ব্যাপারে আলোচনা করতে পারতাম। কাল বা পরশুই এপিসোড গুলো লাগবে সেই তাড়াটা থাকত না। সময় নিয়ে গুছিয়ে কাজটা করলে তার গুণগত মান যে ভালো হবে সেটা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না।

পরের দৃশ্য
পরের দৃশ্য

যে বদলগুলো হয়েছে এবং যা সংযুক্ত হয়েছে তা আদৌ কার্যকর?

তখন এত ডিপার্ট্মেন্ট ছিল না, যেমন প্রোগ্রামার বলে কিছুই ছিল না। চিফ অ্যসেসটেন্ট ডিরেক্টর নিজে প্রোগ্রামিং করতেন, কাকে কবে লাগছে সেটা দেখে তৈরি হত প্রোগ্রামিং। বা যিনি লিখছেন তিনি সেখানে বসেই বলতেন তাঁর কোন কোন চরিত্র প্রয়োজন, সেই মতো তাঁদের অ্যাকুমুলেট করা হোক। এছাড়া পোশাকের জন্য ডিপার্টমেন্ট থাকলেও স্টাইলিং বলে আলাদা করে কিছু ছিল না। চরিত্রটা যখন ভাবা হত তখনই স ঠিক করা হত তার স্টাইল, পোশাক, লুক। পরিচালকের কথাই সেখানে শেষ কথা।

এরপর এল এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার বা ইপি পদ। যার কোনও প্রয়োজনই ছিল না, প্র্যাক্টিক্যলি কাজেই লাগত না। এমন বিভিন্ন রকম বদল এবং বাহুল্য যুক্ত হতে থাকল মেগা সিরিয়ালের ক্ষেত্রে। তবে এটা ঠিক যে বিষয় বিশেষে জব ডিভিশনের প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া কমপ্লেক্সিটি বেড়েছে মানুষের জীবনে, একজন শিল্পী যিনি আগে একটা কাজ করতেন তিনি এখন একসঙ্গে চারটে কাজ করছেন। তাঁর এই ভাগ করাটা, মানে এই পারমুটেশন কম্বিনেশনটা করার দায়িত্ব নিশচই কারও ওপর বর্তায়।

এখন কীভাবে কাজ হয়? কতটা কম্ফোর্টজোন আজকের শুটিং ফ্লোর?

এখন এক ঝটিকা বিপ্লব শুরু হয়েছে টেলিভিশনে। চার পাঁচটার বেশি এপিসোড ব্যাঙ্কিং থাকে না, চ্যানেল তা রাখতেও দেয় না। এমনও হচ্ছে এখন যে, আজ দিনের বেলা শুট করে আজ রাতেই টেলিকাস্ট, তার মধ্যে যদি গ্রাফিকাল শো হয় তাহলেতো আরও বিপদ, গ্রাফিক্সের জন্য একটু তো সময় লাগেই। সেটার রেন্ডারিং রিয়েল সময়ের চেয়ে বেশি লাগে। এমন অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। আসলে গল্পের শুরু থেকে এক্সিকিউশন পর্যন্ত সমস্ত কিছু একমাত্র চ্যানেলের নির্দেশেই হয় এখন। বিশেষ করে স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলো আসার পর, এই ২০০৭/৮ থেকে এই বিষয় গুলো সাংঘাতিক বেড়ে গিয়েছে। কারণ চ্যানেলই হলো আল্টিমেট প্রোডিউসার।

নির্দেশ
নির্দেশ

আর প্রোডাকশন হাউসের ভূমিকা?

হাউসরা প্রোডাকশন করলেও তারা কিন্তু প্রডিউসার নয়, এখানে হাউসের ভূমিকা ভেন্ডারের মতো। যেমন করে টেন্ডার পাস হয় এই ব্যাপারটাও খানিকটা তেমন। যেন কাউকে কাজের জন্য বরাত দেওয়ার হয়েছে। কারণ আমি যেই মুহূর্তে কাজটা শেষ করছি সেই মুহূর্তে সেটা কিন্তু চ্যানেলের সম্পত্তি হয়ে যাচ্ছে, প্রডিউসারের নয়। আমি যদি প্রডিউসার হই তাহলেও আমি আমার সিরিয়াল কোথাও দেখাতে পারব না, ডাবিং করতে পারব না, কোনও কিছুই করতে পারব না প্রডাক্টার সঙ্গে। কারণ ওটা আমার অ্যাসেট নয়। সেই ভাবেই চুক্তিটা হচ্ছে চ্যানেলের সঙ্গে। এই সব নানা কারণেই চ্যানেলই শেষ কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সকলকে চ্যানেলের কথা শুনে চলতে হচ্ছে।

ফ্লোরের সমস্যাটা একটু খুলে বলবেন?

এতগুলো জব ডিভিশনের জন্য পরিচালককে ফ্লোরে দাঁড়িয়ে প্রায় ৬০/৭০টা লোককে কন্ডাক্ট করে পুরো কাজটা তুলতে হচ্ছে, অথচ পরিচালক আগে থেকে গল্প জানতে পারছেন না, কারা শিল্পী তাও জানা যাচ্ছে না, ফ্লোরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে হঠাৎ ইপি এসে বলছেন, আমরা এই এই আর্টিস্টদের নিয়েছি। অলরেডি চ্যানেল, প্রোগ্রামার, ইপি মিলে ঠিক করে নিয়েছে কাদের নেওয়া হবে। কিন্তু পরিচালক কিছুই জানতে পারছেন না! এদিকে দেখা যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র গুলোর জন্য যাঁদের ঠিক করা হয়েছে তাঁরা সেই চরিত্রের জন্য একেবারেই মানানসই নয়। হয়ত তাঁকে দেখতে ভালো লাগছে কিন্তু অভিনয়টা হচ্ছে না। বা অভিনয় ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু সে আসলে খুব ব্যস্ত। দেখা যাচ্ছে শুটিংয়ের যে লোডটা রয়েছে সেটা চার দিনে ভাগ করে নিতে হবে কিন্তু সেই সময়টা অভিনেতার নেই। আমি বুঝতে পারছি এঁদের দিয়ে হবে না কিন্তু আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই হ্যাপাজার্ট ভাবে কাজটা করতে গেলে অন ফ্লোর প্রচুর সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেই সব সমস্যার জন্য সোজা আঙ্গুলটা উঠছে পরিচালকের ওপর। 

ইউনিট আসলে পরিবার
ইউনিট আসলে পরিবার

এই সময়ে দাঁড়িয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?

এখন শুটিংয়ে সবচেয়ে বড় চাপ  ফুটেজের। যাই হয়ে যাক না কেন ২৫ মিনিটের ফুটেজ তুলতে হবে। না হলে ইকনামিক্স পারমিট করবে না। এই সব নিয়ে ইন জেনারেল যে সমস্যা তা প্রতিটা পরিচালক সাফার করছেন। আরও একটা বড় সমস্যা  যেটা চ্যানেলের বোঝা উচিত, এখন দু'দিন করে লকডাউনের জন্য ছুটি। পাঁচদিন শুটিং করে সাত দিনের ফুটেজ তুলব কেমন করে! এমনিতেই তো সাত দিন কাজ করেও ফুটেজ তুলতে এত সমস্যা। জানিনা কীভাবে ফুটেজ উঠবে!

এখন আউটডোর করা যাবে না, কোনও পাড়া বা গলিতে শুটিং করতে দিচ্ছে না। সিনেমা তো বটেই, সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও যে ছোটখাটো যে আউটডোর লাগে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। একটা মন্দিরে শুটিংয়ের পারমিশন নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা দিতে রাজি হন নি। অতএব কাহিনি ডোমেস্টিক হতে হবে। লকডাউন সংক্রান্ত অসুবিধা গুলো সাময়িক, সেটা মিটে যাবে একটা সময়ের পর।  এখন স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে অনেকটা সহজ করেছে শুটিংয়ের বিধি নিষেধ। ১০ জন কে নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে। একটা মেগার ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ট। হ্যাঁ কোনও বিশেষ পর্ব, বিয়ের দৃশ্য বা মারামারির সিন থাকলে আলাদা কথা। গল্পটাকে একটু অদল বদল করে দিলেই চলবে। বিশেষ পর্ব রাখার এখন দরকার নেই।

একজন সঠিক লোক আসুক যাঁর কাজ হবে ফ্লোরে থেকে এই সমস্যা গুলো খুঁজে বের করে সেগুলো চ্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান কর। না হলে ওই যে বললাম, ডিরেক্টররাই ভিলেন হয়ে যায়। আমিও তাই হলাম।

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

প্রবল তাপপ্রবাহ চলবে বাংলায়! সোম থেকে বৃষ্টি নামবে, কবে কোন কোন জেলায় ঝড় উঠবে? ফিলিপিন্সে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি ১৮ মাসের মেয়েকে খুন করে কবর দিলেন বাবা-মা! তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য লখনউয়ে মাহি ঝড়কে ফিকে করল রাহুল-ডি কক জুড়ি, হাসতে হাসতে জিতল LSG মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন, বড় শাস্তি! পাঠানো হল হেডকোয়ার্টারে বিশ্বের ষষ্ঠ মহাসাগর তৈরি হতে পারে! স্থান খুঁজে পেয়ে দাবি বিজ্ঞানীদের এক গ্রাসে ৩৩ সূর্যকে গিলে খাবে! মহাকাশে বিরাট ব্ল্যাক হোল! জানেন এর নাম কি? Akshay Tritiya 2024 date time: অক্ষয় তৃতীয়া কবে পড়ছে? রইল তারিখ, তিথি এক লিটার পেট্রোলের দাম ২৯৩.৯৪ টাকা, চাপে পাকিস্তানের মানুষ কংগ্রেসের প্রচারে অবিকল শাহরুখের মতো দেখতে ইনি কে? চটল BJP

Latest IPL News

লখনউয়ে মাহি ঝড়কে ফিকে করল রাহুল-ডি কক জুড়ি, হাসতে হাসতে জিতল LSG মুম্বইয়ে থাকার সময়ে MI-এর টিম হোটেলে থাকেন না রোহিত! জানেন কেন এমন করেন হিটম্যান IPL 2024: MI ক্যাম্পে ফাটল? ক্যাপ্টেন হার্দিকের সমালোচনায় দলের তারকা অল-রাউন্ডার পন্তকে ঘিরে DC-র খেলোয়াড়দের বাচ্চারা, ফিরল পেইনের বেবি সিটার স্লেজিংয়ের স্মৃতি 'তোমার প্রিয় ক্রিকেটার বুমরাহ'?প্রশ্ন ইশানের,ভক্তের উত্তরে বুমরাহ বললেন-গুড চয়েস স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম কীভাবে IPL 2024-এ বিপ্লব এনেছে- তুলে ধরলেন শ্রীনাথ ও মেনন পরের আইপিএলেও খেলবেন ধোনি? রায়নার উত্তর নিয়ে জল্পনা - ভিডিয়ো IPL 2024: LSG vs CSK ম্যাচের আগে ধোনির প্রসঙ্গে অতীতের কোন কথা বললেন রাহুল? মুম্বইয়ের সংসারে অবশেষে মিলে সুর মেরা তুমহারা, রোহিতের আলিঙ্গন হার্দিককে ছেলে অন্ত প্রাণ বাবা!ছেলেকে উদ্দেশ্য করেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বার্তা শিখর ধাওয়ানের

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.