এমনিতে বেজায় শান্ত স্বভাবের মানুষ অভিষেক বচ্চন। কটাক্ষের স্পষ্ট জবাব দিলেও মেজাজ হারান না জুনিয়র বি। তাঁকে শেষ কবে রাগতে দেখা গিয়েছে? তা স্মৃতিশক্তিতে জোর দিলেও মনে করতে পারবেন না অনুরাগীরা। কিন্তু বাবাকে নিয়ে রসিকতা এক্কেবারে না-পসন্দ তারকার। তাই কৌতুকশিল্পী পরিতোষ ত্রিপাঠির উপর ক্ষেপে গিয়ে মাঝপথেই ‘কেস তো বনতা হ্যায়’ শো থেকে রেগেমেগে বেরিয়ে গেলেন অভিনেতা! অন্তত তেমনটাই বলছে শো-এর নতুন প্রোমো।
শান্ত-সৌম্য স্বভাবের অভিষেক আচমকা অন্য রূপে কেন? ঠিক কী হয়েছিল আমাজন মিনি টিভির কোর্ট রুম কমেডির সেটে? এই শো-তে সরকারি আইনজীবীর ভূমিকায় থাকেন অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রীতেশ দেশমুখ, অন্যদিকে অভিযুক্তর আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন বরুণ শর্মা। আর বিচারকের আসনে থাকেন কুশা কাপিলা। বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ নিয়ে মজাদার ভঙ্গিতে পেশ করা হয় এই শো-তে।
অভিষেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে কাঠগড়ায় ওঠেন কমেডিয়ান পরিতোষ। এরপর পরিতোষ ট্রোলিং নিয়েই মন্তব্য় করেন। তারপর আচমকা মেজাজ হারান অভিষেক। শো-এর পরিচালককে ডাক করেন তিনি, বন্ধ করে দেন শো। এরপর তাঁর কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, পরিতোষ অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন। তাতেই অপমানিতবোধ করেন অভিষেক। বচ্চন পুত্র বলেন, ‘এটা নেওয়া যাচ্ছে না। আমায় নিয়ে যত খুশি মজা করুন, কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু বাবাকে টেনে আনবেন না। ওঁকে নিয়ে কোনও রকম রসিকতা আমি বরদাস্ত করব না, ওঁনাকে নিয়ে আমি একটু সংবেদনশীল’।
ততক্ষণে তো মুখ থমথমে পরিতোষ, রীতেশদের। ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে পরিতোষ বলেন, ‘উনি (অমিতাভ বচ্চন) আমাদের সবার কাছেই পিতৃতুল্য’। কিন্তু কোনও কিছু শোনার মুডেই নেই অভিষেক। তিনি গড়গড়িয়ে বলে চলেন, ‘মানুষ হয়ে মানুষকে একটু তো সম্মান দিতেই পারে! লোককে হাসাতে গিয়ে গড়গড়িয়ে যা খুশি তাই বলে দেওয়া যায় নাকি? আমি কি বোকা? আমার যা বলার বলা হয়ে গেছে’।
এরপরই সিট ছেড়ে উঠে দরজার দিকে বেরিয়ে যান অভিষেক। সবার তখন থমথমে মুখ। এই ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে নানা মুনির নানা মত। নেটিজেনরা অবশ্য নিশ্চিত অভিষেক নিজেই মজা করছেন পরিতোষ এবং গোটা টিমের সঙ্গে, তেমনটা না হলে এমন ফলাও করে প্রোমো রিলিজ করত না ‘কেস তো বনতা হ্যায়’ টিম। আপনাদের কী মনে হচ্ছে? এপিসোড সামনে এলেই খোলসা হবে সবটা!