তাঁর শিল্পীসত্ত্বা পূর্ণতা দিয়েছে বাঙালির কৈশোরকে। তাঁর সৃষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ আমাদের ছেলেবেলা। তিনি বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন প্রথম কমিক্স সুপারহিরো 'বাঁটুল… দ্য গ্রেট'। তিনি স্রষ্টা ‘হাঁদা ভোঁদা', ‘নন্টে ফন্টে’দের। ছয় দশক ধরে তাঁর তুলি-কলমের টানে প্রাণ পেয়েছে এই সকল কমিক্স চরিত্র। সেই কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট নায়ারণ দেবনাথের প্রয়াণে মন খারাপ বাঙালির। তাঁর প্রয়াণে সকালেই শোকবার্তা এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে, দুপুর গড়াতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও স্মরণ করলেন এই কিংবদন্তিকে।
সম্পূর্ণ বাংলায় টুইট লিখে 'পদ্মশ্রী' নারায়ণ দেবনাথকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিলেন মোদী। তিনি লেখেন, ‘শ্রী নারায়ণ দেবনাথ জী তাঁর কাজ, কার্টুন এবং ছবির মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত শক্তি তাঁর কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলি আজীবন জনপ্রিয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে ব্যথিত। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।’
এদিন প্রবীণ শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসবার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমি শোকস্তব্ধ প্রবীণ কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের মৃত্যুতে। ওঁনার চলে যাওয়াটা কার্টুনের জগতে একটা অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করল’।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। গত ২৫দিন ধরে বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি থাকবার পর মঙ্গলবার সকাল ১০.১৫ মিনিটে পরপারে যাত্রা করলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে থামল কার্টুনিস্টের বিচিত্র কর্মজীবন। তাঁর সৃষ্ট ‘হাঁদা-ভোঁদা’, ‘নন্টে-ফন্টে’র মতো কমিক চরিত্রগুলো বাঙালির সম্পদ। স্রষ্টা চলে গেলেও রয়ে যাবে নারায়ণ দেবনাথের এই সকল সৃষ্টি, বাঙালি তাঁর কিশোরবেলায় ফিরতে বারবার উলটে পালটে দেখবে, পড়বে এই সব কাহিনি।