‘গাঁটছড়া’য় প্রথম দিকে খলনায়িকা চরিত্রেই দেখা মিলেছিল অভিনেত্রী সুচিস্মিতা চৌধুরীর। এখন অবশ্য চরিত্রে একটা অন্য শেডস এসছে। ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে সে বদলাচ্ছে নিজেকে। তবে টিভির পরদায় যতই শয়তানি করুক না কেন, বাস্তবে কিন্তু তিনি খুব পজিটিভ একজন মানুষ। সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এ এসেও সেই পজিটিভিটির ছাপ ফেলে গিয়েছেন।
হলুদ রঙের একটি শাড়ি পরে এসেছিলেন সুচিস্মিতা। দেখতেও দুর্দান্ত লাগছিল। আর তখনই শো-র হোস্ট রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘লোকের একটা একটা করে জন্মদিন আসে আর বয়স বাড়ে। তোমার তো দেখছি কমছে। নিজেকে কীভাবে এখনও এত মেনটেইন করে রেখছ তুমি।’ এরপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রচনা বলে ওঠেন, ‘আপনাদের বলে দেই সুচিস্মিতার ছেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, বউ নিয়ে সংসার করছে।’
এর জবাবে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার মনে হয় জীবনটাকে ভালোবেসে সুন্দরকরে বাঁচাটা সবচেয়ে দরকর। জীবনটাকে উপহার হিসেবে ভাবা উচিত। আমাদের কারও কাছে গ্যারান্টি নেই যে কাল ঘুম থেকে উঠে কোনও খারাপ খবর পাব না। কিন্তু সকালে যখন দেখি আমি ভালো আছি, আমার পরিবার ভালো আছে, আমার কাছের মানুষরা ভালোবাসে আমি খুশি হয়ে যাই। আমার মনে হয় এটাই দরকার।’
এখনও ছিপছিপে চেহারা, কী খান সুচিস্মিতা? জবাব আসে, ‘আমি খেতে খুব ভালোবাসি। সব খাইও। আমার বর খুব ভালো রান্না করে। ছেলে খুব ভালো রান্না করে। ছেলের বউও বুঝে গিয়েছে ছেলের হৃদয়ে পৌঁছনোর রাস্তাটা খাবার দিয়ে, তাই ও আজকাল ভালো ভালো রান্না করা শিখে গিয়েছে। তবে হ্যাঁ আমি খাই, কিন্তু শরীরের উপরে অত্যাচার করি না। ওই মনে হল রাতে একগাদা খেয়ে ফেললাম ওরকম করি না।’