লুকিয়ে লুকিয়ে ইলিশ খাওয়া হল, খুনসুটির আড়ালে প্রেমও হল! কিন্তু দাদু-ঠাকুমার কাছে ধরা পড়ে গেল ঋদ্ধি-খড়ি। শাস্তি তো তাদের পেতেই হবে! বাড়ির কর্তার ভাগের খাবার খেয়ে নিয়েছে বলে কথা! শুধু তাই নয়। দু'জনের প্রেমালাপও চুপিচুপি শুনে ফেলেছে নাতি-নাতবৌ। একটু 'শিক্ষা' না দিলে চলে নাকি?
নরেন্দ্রর আদেশ, বাজারে গিয়ে তার জন্য টাটকা ইলিশ কিনে আনতে হবে ঋদ্ধি-খড়িকে। তার পর দু'জনে মাইল সর্ষে ইলিশ রাঁধবে। যেমন কথা, তেমন কাজ। বরকে নিয়ে সক্কাল সক্কাল বাজারে বেরিয়ে পড়ে খড়ি। কিন্তু ঋদ্ধি কি চুপচাপ মেনে নেওয়ার পাত্র! বৌকে বাজার করতে পাঠিয়ে বাইরে দাঁড়িয়েছিল সে। তাতেই নাকি 'দুর্গন্ধে' তার যাই-যাই অবস্থা! সুযোগ বুঝেই বরকে 'আলালের ঘরের দুলাল' বলে খোটা দেয় সে।
খড়ির সুবাদে নতুন করে সিংহ রায় জুয়েলার্সের নাম সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চার দিকে। আর তখনই নতুন ফাঁদ পাতে রাহুল-কিয়ারা। খড়ির অজান্তেই তাকে দিয়ে একটি চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে লেখা, সারা জীবন ঋদ্ধিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের জন্য গয়না তৈরি করবে সে।
অন্য দিকে, স্ত্রীকে সহকর্মী হিসেবে পেতে চায় ঋদ্ধি। ইচ্ছের কথা জানায় বাড়ির গুরুজনদের। সকলেই এক কথায় রাজি। খড়িকে এ বার শুধু খড়িকে বলার অপেক্ষা। কিন্তু তার আগে তো রান্না সারতে হবে। দাদু ইলিশ ভাপা খেতে চেয়েছে বলে কথা!
রান্নাঘরে ব্যস্ত খড়ি। তাকে সাহায্য করতে যায় ঋদ্ধিমান। সর্ষে বাটার দায়িত্ব পড়ে তার উপর।
কিন্তু তার দ্বারা কী আর এ সব হয়! সর্ষের বদলে নিজের হাতটাই বেটে ফেলে সে। বরকে সামলে তাকে সর্ষে বাটা শিখিয়ে দেয় খড়ি। আর তখনই তাকে সিংহ রায় জুয়েলার্সে কাজের প্রস্তাব দেয়
ঋদ্ধি। কিন্তু রাহুল-কিয়ারার পাতা ফাঁদ থেকে কি আদৌ বেরতে পারবে সে? ঋদ্ধিমানের সঙ্গে শুরু হবে নতুন অধ্যায়? এখন সেটাই দেখার।