একটু একটু করে ছন্দে ফিরছে সিংহ রায় পরিবার। প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে তারা। আর এই জয়ের হাত ধরেই ফিরছে ব্যবসার হাল। কাটছে দুশ্চিন্তার মেঘ।
খড়ির জয়গান গাইছে সকলেই। ছন্দে ফিরেছে দ্যুতির জীবন। লক্ষ্য পূরণের পথে হেঁটে সিংহ রায় জুয়েলার্সের মুখ হয়ে উঠেছে সে। মডেল হিসেবে তার ঝুলিতে আসছে একাধিক কাজ। স্ত্রীর এই সাফল্য দেখে তার সঙ্গে ভাঙতে বসা সম্পর্ক জুড়তে চায় রাহুল। কিন্তু তার কোনও চেষ্টাই ধোপে টেকে না। এর পরেই দ্যুতির শ্যুটে এসে সমস্যা তৈরি করে সে। তার কাজ বন্ধ করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেও পিছপা হয় না। কিন্তু রাহুলকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি সে।
অন্য দিকে, অয়নাকে নিয়ে খড়ির মনে সন্দেহ। তার আশঙ্কা, সিংহ রায় বাড়িতে থেকে সে-ই তার বাবাকে গোপন সব তথ্য দিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাকে কাঠগড়ায় তোলে সে। অয়না যদিও সত্যিটা স্বীকার করে না। বিভিন্ন মনগড়া যুক্তি দিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে। সফলও হয়।
এর পরেই মোক্ষম চালটি চালে অয়না। শর্ত দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে তার এবং কুণালের বিয়ে দিতে হবে। তবেই সিংহ রায় পরিবারের আসল শত্রুকে সকলের সামনে আনবে সে। যারা পরিবারের অংশ হয়েও প্রতিপক্ষকে সাহায্য করেছে, তাদের অর্থাৎ রাহুল-কিয়ারার মুখোশ খুলে দেওয়ার কথা দেয় অয়না।
(আরও পড়ুন: ঋদ্ধি-খড়ির জীবনে ঝড় আনছে 'ডি'! কে এই ব্যক্তি? জেনে নিন উত্তর)
এ সবেরই মাঝেই ফিরে আসে 'ডি'। বহু বছর আগে কলকাতা ছেড়ে দুবাই চলে গিয়েছিল সেই ভয়ঙ্কর অপরাধী। কিন্তু সিংহ রায় পরিবারের ক্ষতি সাধনের জন্য ফের তার আবির্ভাব। তাকে ধরতে পুলিশকে সাহায্য করছে বনি।
অবশেষে কি ধরা পড়বে 'ডি'? সামনে আসবে রাহুল-কিয়ারার আসল চেহারা? এখন সেটাই দেখার।