অভিমানের বরফ গলছে । কাছে আসছে ঋদ্ধি-খড়ি। মান-অভিমানের পালা ভুলে চলছে খুনসুটি। তাদের মধুচন্দ্রিমায় পাঠাতে চায় দাদু-ঠাম্মা। সঙ্গে যাবে রাহুল-দ্যুতি, বনি-কুনালও। নাতি-নাতবৌদের ঘুরতে পাঠানোর সব ব্যবস্থাও করে ফেলে তারা।
আচমকাই বেঁকে বসে খড়ি। জানায়, ঋদ্ধিমানের মতো দাম্ভিক মানুষের সঙ্গে সে কোথাও যাবে না। তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার চেয়ে নাকি সারা জীবন ঘরবন্দি থাকা ভালো। বৌয়ের কথা শুনে চটে লাল ঋদ্ধিমান। পরিবারের সকলের সামনেই খড়ির সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেয়। দু'জনেই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তারা মধুচন্দ্রিমায় যেতে আগ্রহী নয়।
অন্য দিকে, বাইরের হাওয়া গায়ে মাখতে উতলা দ্যুতি। বোনকে রাজি করাতে কোনও ত্রুটি রাখছে না সে। কিন্তু খড়ি কি এত সহজে রাজি হওয়ার পাত্রী! মধুজার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। একেই চোখের আড়াল হবে ছেলে। তায় আবার বনির সঙ্গে! মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে মরিয়া সে।
(আরও পড়ুন: ‘আপলোডের এত তাড়া বানানটাও দেখবেন না?’, গাঁটছড়ার প্রোমো ঘিরে শুরু ট্রোলিং)
অবশেষে ঝগড়া-ঝামেলা থামে। তিন জুটিকেই যেতে হবে মধুচন্দ্রিমায়। এমনই আদেশ দেয় বাড়ির কর্তা। অগত্যা ব্যাগপত্তর গোছানোর পালা।
আনন্দ ধরে রাখতে পারছে না দ্যুতি। কী কী নিয়ে যাবে, না-যাবে, সে সবের তালিকা তৈরিতেই ব্যস্ত সে। এ দিকে স্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ দিন কাটাতে হবে ভেবে নাজেহাল রাহুল। কী ভাবে দ্যুতির থেকে দূরে থাকা যায়, সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তাকে।
(আরও পড়ুন: লুকিয়ে ইলিশ খেতে ধরা পড়ল ঋদ্ধি-খড়ি! কী শাস্তি জুটল তাদের?)
কুনালকে সাজগোজের পাঠ দিচ্ছে বনি। বুঝিয়ে দিচ্ছে কোন ধরনের পোশাক পরা উচিত তার। আর দু'জনের এই কথোপকথন শুনেই মধুজার দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। ছেলেকে আটকানোর জন্য নতুন ফাঁদ পাতবে সে।
ঋদ্ধি-খড়িরও ঝগড়া বহাল। আর বাকবিতণ্ডার মাঝেই একে অপরের কাছে আসে তারা। ভালোবাসার উষ্ণতায় স্ত্রীকে জড়িয়ে নেয় ঋদ্ধি। তবে কি মধুচন্দ্রিমায় গিয়েই আরও কাছাকাছি আসবে তারা? শুরু হবে নতুন অধ্যায়? এখন সেটাই দেখার।