মধুচন্দ্রিমাই বদলে দিল অনেক কিছু। ভুল বোঝাবুঝির আস্তরণ সরিয়ে কাছাকাছি ঋদ্ধি-খড়ি। শুধু তাই নয়। দ্যুতির কাছে ধরা পড়ে দমেছে রাহুলও। আবার সত্যিটা জেনে নিজের ভুল শুধরে নিয়েছে কুণাল। বনির প্রতি তার রাগ-ক্ষোভ উধাও নিমেষেই।
ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরে আসে তিন জুটি। চৌকাঠ পেরতেই শুরু নতুন সমস্যা। সিংহ রায় জুয়েলার্সের প্রবল ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়। আর তার জন্য ভট্টাচার্য পরিবারের তিন বোনকে কাঠগড়ায় তুলেছে সুধাংশু। তার দাবি, অয়নার সঙ্গে কুণালের বিয়ে হলে দত্তদের রোষের মুখে পড়তে হত না তাদের। চলতে থাকে দোষারোপ। ধেয়ে আসে কটাক্ষ। অশান্তির আগুনে ঘৃতাহুতি করে মধুজা আর পারমিতা।
অবশেষে মুখ খোলে ঋদ্ধি। বুঝিয়ে দেয়, চুপ করে সে স্ত্রীয়ের অপমান সহ্য করবে না। প্রসূনের ষড়যন্ত্রের কথাও ফাঁস করে দেয় সে।
(আরও পড়ুন: রাহুলকে দ্যুতির সপাট চড়, ফের ভাঙনের মুখে ঋদ্ধি-খড়ির সম্পর্ক! নয়া মোড় গাঁটছড়ায়)
খড়ির জন্য নয়, ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে ভালো ডিজাইনের অভাবে। নিজের সেই উপলব্ধির কথা সকলের সামনেই জানায় ঋদ্ধি। দত্তদের গয়নার ডিজাইনারকে খুঁজে বার করার পরিকল্পনা তার। এ দিকে খড়ি অজান্তেই কাজ করে গিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের জন্য। ফের দু'জনের সম্পর্কে ফাটল ধরার আভাস পেয়ে খুশি কিয়ারা। রাহুলের যদিও এ সব নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। নিজেকে নিয়েই বেশি চিন্তিত সে।
(আরও পড়ুন: রাহুলের সঙ্গে বিয়ে ভাঙতে চায় দ্যুতি! হতাশায় কোন চরম সিদ্ধান্ত নিল সে)
মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরে ফের কাছাকাছি ঋদ্ধি-খড়ি। ভালোবাসা তো আছেই। আছে খুনসুটিও। কাজে ব্যস্ত স্বামীকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয় খড়ি। নতুন করে যেন একে অপরকে ভালোবাসছে তারা। এ সবের ঋদ্ধির দরকারি কাগজপত্রের মধ্যে নিজের আঁকা গয়নার ডিজাইন আবিষ্কার করে খড়ি। জানতে পারে, সেই ডিজাইনের জোরেই সাফল্যের মুখ দেখছে দত্তরা। তবে কি রাহুল-কিয়ারার ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে? নাকি ফের ভুল বোঝাবুঝি কারণে দূরে সরে যাবে ঋদ্ধি-খড়ি? এখন সেটাই দেখার।