কাছে আসার ইচ্ছে প্রবল। তবু মাঝে এক পৃথিবী দূরত্ব। আর সেই দূরত্বও যেন অনতিক্রম্য। ঋদ্ধি-খড়ির মান-অভিমানের পালা।
নিজের পরিচিতি তৈরি করছে খড়ি। গয়নার ডিজাইন করে স্বামীর ঋণ শোধ করার পরিকল্পনা তার। সেই পথেই এগচ্ছে সিংহ রায় পরিবারের বড় বৌ। যাবতীয় অশান্তির মাঝেই জুড়ছে নতুন সমস্যা। সিংহ রায় জুয়েলার্সের কর্মচারীর সঙ্গে স্ত্রীর মেলামেশায় ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি। বাইরের কেউ খড়িকে সাহায্য করছে! স্পর্ধা দেখে বেজায় চটেছে সে। তা নিয়ে যদিও রাখঢাক নেই। সকলের সামনেই খড়ির উপর ক্ষোভ উগরে দেয় ঋদ্ধি।
অন্য দিকে, বনির উপর ফের চটে লাল মধুজা। দিব্যি আরাম করে চা খাচ্ছিল। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে তার হাতের সেই কাপই ভেঙে ফেলেছে পুত্রবধূ। আরও একবার কাঠগড়ায় বনি। প্রশ্ন তোলা হয় তার স্বভাব নিয়ে। ছাড় পায় না তার পরিবারও। আর তখনই গর্জে ওঠে খড়ির বোন। আর তাতেই অশান্তির আগুনে ঘৃতাহুতি। রেগে গিয়ে মধুজা চড় মারতে যায় তাকে।
স্ত্রীকে শাসন করতে আচমকাই আবির্ভাব কুণালের। কিন্তু বনিও দমার পাত্রী নয়! স্বামীর সঙ্গেও তর্কে জড়ায় সে। আসলে এ সব কিছুই তার পরিকল্পনার একটি অংশ। সে চায়, এমন আচরণের সিংহ রায় বাড়ি থেকে তাকে বহিস্কৃত করা হোক। আর কুণালের জীবনে ফিরে আসুক অয়না।
বোনকে অপদস্থ হতে দেখে প্রতিবাদ করে খড়ি। এগিয়ে আসে দ্যুতিও। তাদের পরিবারে খড়ির অবদানের দীর্ঘ একটি ফিরিস্তি দেয়। চুপ থাকে না ঋদ্ধিও। মনে করিয়ে দেয়, তারই জন্য পৈতৃক বাড়ি ফিরে পেয়েছে খড়িরা।
স্বামী-স্ত্রীর এই লড়াই কবে শেষ হবে? আদৌ কাছে ঋদ্ধি-খড়ি? জানতে মুখিয়ে অনুরাগীরা।