শত্রুদের হাতে আক্ষরিক অর্থেই কাঁচকলা ধরিয়ে দিয়েছে খড়ি!
প্রতিযোগিতার আগের রাতে ডাকাতি সিংহ রায়দের ওয়ার্কশপে। লুঠ করা হয় গয়নার একাধিক বাক্স। এ সবেরই নেপথ্যে অয়নার বাবা। কিন্তু ঋদ্ধিদের ব্যবসার ক্ষতি করতে গিয়ে বোকা বনে গেল সে! ভাবনার সঙ্গে বাস্তব মিলল না। অগত্যা গোল খেতে হল প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে।
দুষ্টের বিরুদ্ধে ঋদ্ধি-খড়ির লড়াই জারি। পারিবারিক ব্যবসাকে ক্ষতির মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার তাদের। খড়ি জানত, নতুন গয়না তৈরির খবর জানলেই তা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে দত্তরা। আর এই ভাবনা থেকেই মোক্ষম চালটি চালে সে। গয়নার বাক্সে কাঁচকলা ভরে সেগুলিকে সিন্দুকে তুলে রাখার নির্দেশ দেয়। আর গয়নাগুলিকে রাখা হয় সাদামাঠা কার্টনে। ফলে দত্তদের খুব সহজেই পরাস্ত করে ঋদ্ধি-খড়ি।
এখানেই শেষ নয়। আরও একবার নিজের সাহসিকতার পরিচয় দেয় বনি। ডাকাতদের ধরতে পুলিশকে সাহায্য করে। অন্য দিকে, অয়নার কল্যাণে ডাকাতরা সিংহ রায়দের ওয়ার্কশপের চাবি পায়। মধুজাকে বোকা বানিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করে সে।
(আরও পড়ুন: অফিসের মধ্যেই ঋদ্ধির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ খড়ি! 'গাঁটছড়া'র নতুন পর্বে বড় চমক)
পরিবারের কোনও সদস্যই সাহায্য করছে দত্তদের। এ বিষয়ে নিশ্চিত খড়ি। কিন্তু সরষের মধ্যে ভূতটা কে? এখনও তা জানা যায়নি। তাকে ধরতেই ফাঁদ পেতেছিল ঋদ্ধি-খড়ি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির নাটক পর্যন্ত করে তারা।
(আরও পড়ুন: খড়িকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবে ঋদ্ধি? 'গাঁটছড়া'র নতুন পর্বে কী হবে জেনে নিন)
সিংহ রায় জুয়েলার্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বাছাইয়ের পর্ব চলছে। রাহুল-কিয়ারার কাঁধে নতুন মুখ বেছে নেওয়ার দায়িত্ব। অন্য মডেলদের সঙ্গে অডিশন দিতে আসে দ্যুতিও। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ চায় সে। কিন্তু একরাশ অপমান ছাড়া পায় না কিছুই। এর পরেই এসে হাজির হয় রাহুলের প্রেমিকা। যার সঙ্গে গোপালপুরে ধরা পড়েছিল সে। দ্যুতিকে ছেড়ে তাকে বিয়ে করতে হবে রাহুলকে। প্রেমিকের কাছে এমনই দাবি তার।
একদিকে রাহুল-দ্যুতির টালমাটাল সম্পর্ক। অন্য দিকে, শত্রুদের বিরুদ্ধে ঋদ্ধি-খড়ির লড়াই। কোন দিকে মোড় নেবে 'গাঁটছড়া'র গল্প? এখন সেটাই দেখার।