সাফল্যের স্বাদ পাচ্ছে খড়ি। ভিড় উপচে পড়েছে তার প্রদর্শনীতে। সিংহ রায় বাড়ির বড় বৌয়ের হাতের কাজ দেখে মুগ্ধ ক্রেতারা। একের পর এক জিনিস বিক্রি হচ্ছে। খড়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। বাদ যায়নি তার পরিবারের সদস্যরাও।
যার তৈরি জিনিস নিয়ে এত চর্চা, সে কোথায়? ঋদ্ধির নির্দেশের প্রদর্শনীর সব চেয়ে সুন্দর শাড়িটি পরে খড়ি। কিন্তু স্ত্রীর অগোছালো শাড়ি পরা মনে ধরেনি তার। অগত্যা খড়ির নিষেধ উড়িয়ে তাকে সাজিয়ে তোলে ঋদ্ধি। প্রদর্শনীতে পা রাখতেই ম্যাজিক! সকলের নজর শুধু খড়ির দিকেই। নিজের সাফল্যের জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত সে। তার তৈরি প্রায় সব শাড়ি-গয়নাই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে লক্ষ্যপূরণের পথে এগোচ্ছে সে।
খড়ির এই সাফল্যে খুশি তার পরিবার। তবে মধুজার রাগের পারদ নামে না! প্রদর্শনীতে এসেও ক্ষোভ উগরে দেয় খড়ির বিরুদ্ধে।
অন্য দিকে, ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঋদ্ধি। তাদের পাঠানো গয়নার ডিজাইন পছন্দ হয়নি ক্রেতার। ফলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রাহুল-কিয়ারা তার পাশে থাকার অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছে নিষ্ঠা নিয়ে। আসলে সর্ষের মধ্যেই যে ভূত লুকিয়ে, সে কথা ঋদ্ধি থোড়াই জানে!
পারিবারিক ব্যবসায় সমস্যার কথা জানতে পারে খড়ি। ঋদ্ধিকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
তবে কি ফের কাছাকাছি আসবে তারা? কমবে দূরত্ব? এখন সেটাই দেখার।