দূরত্ব কমছে। গলছে অভিমানের বরফ। ফিরছে প্রেম। ঋদ্ধি-খড়ির জীবনে অকাল বসন্তের আগমন।
সিংহ রায় পরিবারের ব্যবসাকে ক্ষতির মুখ থেকে ফিরিয়েছে খড়ি। স্ত্রীর প্রতি হারানো ভরসা ফিরে পেয়েছে ঋদ্ধি। থেমেছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। নেই দোষারোপের যন্ত্রণা, রয়েছে হালকা চালের খুনসুটি।
ঘর থেকে বেরিয়ে চুপিচুপি বৌয়ের হাতে রান্না খেতে গিয়ে তার কাছেই ধরা পড়ে ঋদ্ধি। কিন্তু হার মানলে তো চলবে না। কেন মাঝরাতে ভাপা ইলিশের স্বাদ নেওয়ার ধুম? খড়ির প্রশ্নের মুখে পড়ে আসে উদ্ভট এক জবাব। ঋদ্ধি জানায়, আদৌ রান্না ঠিকঠাক হয়েছিল কি না, তা-ই বুঝে নেওয়ার জন্য সকলের অগোচরে সেগুলি চেখে দেখছিল সে। পাচ্ছে বেশি তেল-ঝাল-মশলা খেয়ে বিদেশি পিটারের শরীর খারাপ হয়।
ঋদ্ধির এই 'গোপন' অভিযান নিয়ে খুনসুটি চলতে থাকে। আর ঠিক তখনই তাদের দাদু এসে উপস্থিত হয় সেখানে। কাউকে না দেখতে পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে মিষ্টি খেতে শুরু করে। তাকে দেখে টেবিলের আড়ালে বসে পড়ে ঋদ্ধি-খড়ি। কোনও ভাবেই কারও চোখে পড়া যাবে না!
(আরও পড়ুন: অভিমানের বরফ গলেছে! কী ভাবে বসন্ত ফিরল ঋদ্ধি-খড়ির জীবনে?)
কুমুদিনীর কাছে ধরা পড়ে নরেন্দ্র। মধুমেহয় আক্রান্ত বরকে মিষ্টি খেতে দেখে খানিক ধমকও দেয় তাকে। কিন্তু স্ত্রীকেও নিজের দলে টেনে নেয় সে। নিজের হাতে মিষ্টিও খাইয়ে দেয়। আর তারই সঙ্গে চলতে থাকে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ।
অন্য দিকে খিদের চোটে ঝগড়া ভোলে ঋদ্ধি-খড়ি। একই পাত থেকে খেতে শুরু করে দু'জনে। একে অপরকে খাইয়েও দেয়। আচমকাই ঋদ্ধির গলায় কাঁটা ফোটে। কেশে ওঠে সে। সেই আওয়াজ পৌঁছয় তাদের দাদু-ঠাকুমার কানে। ব্যাস, ধরা পড়ে যায় তারা।
(আরও পড়ুন: ক্ষতির মুখে ঋদ্ধির ব্যবসা, সাফল্যের পথে খড়ি! কোন দিকে এগোবে 'গাঁটছড়া'র গল্প)
এক দিকে যখন ঋদ্ধি-খড়ির প্রেমের মরশুম, অন্য দিকে তখনও বনি-মধুজা বিতণ্ডা জারি। শাশুড়ি-বৌমার লড়াই যেন থামতে চায় না। ফের শুরু কথা কাটাকাটি, তর্ক। পুত্রবধূকে তাড়া করে মধুজা। ঘরের মধ্যেই হয় দৌড়ঝাঁপ। মা আর স্ত্রীর কাণ্ড দেখে হয়রান কুণাল। হাল ছেড়ে চুপচাপ বসে থাকে সে।
এ ভাবেই প্রেম-ঝগড়া-খুনসুটির মধ্যে দিয়ে একটু একটু করে ছন্দে ফিরছে খড়িদের জীবন।
(আরও পড়ুন: খড়ির জীবনে অন্য পুরুষের আগমন? এ বার কী করবে ঋদ্ধি? 'গাঁটছড়া'র গল্পে নয়া মোড়)