মধুচন্দ্রিমার তোড়জোড় শুরু। ব্যাগপত্তর গোছানোর পর্ব চলছে। তারই মধ্যে এ কী বিপত্তি! আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে মধুজা। মাথা ঘুরিয়ে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তার এই আকস্মিক অসুস্থতায় বিচলিত পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িতে চিকিৎসক এসে উপস্থিত।
খবর দেওয়ার আগেই চিকিৎসক এসে হাজির? কী ভাবে? কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। সকলের বিস্ময় কাটিয়ে চিকিৎসক জানায়, তাকে ডেকে পাঠিয়েছে রোগী স্বয়ং। শরীর বেগতিক বুঝে আগেভাগেই নাকি খবর দিয়েছিল মধুজা। এর পর চলে রোগী দেখার পর্ব। জানানো হয়, মধুজা খুবই অসুস্থ। সর্ব ক্ষণ ছেলে কুণালকে থাকতে হবে তার পাশে। মায়ের দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে হবে তাকেই।
মধুজার অসুস্থতায় পরিবারের সকলেই চিন্তিত। মধুচন্দ্রিমা ভুলেছে ছেলে। মাকে কাছছাড়া করবে না সে। কিন্তু বনি কিছুতেই হিসেবে মেলাতে পারছে না। ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে না তো শাশুড়ি? প্রশ্ন তার মনে। দেখা যায়, তার আশঙ্কাই ঠিক। ছোটবেলার বন্ধুকে চিকিৎসক সাজিয়ে বাড়িতে আনে মধুজা। তার নির্দেশ মতোই কুণালকে মাতৃসেবার পরামর্শ দেয় ভুয়ো চিকিৎসক। অসুস্থতার নাটক করে ছেলেকে আটকে রাখতেই এত আয়োজন!
(আরও পড়ুন: নগ্ন নাকি? ‘গাঁটছড়া’র রাহুল ওরফে অনিন্দ্যর ইনস্টাগ্রাম রিল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে)
বনিও কি হার মানার পাত্রী? মধুজা বুনো ওল হলে সে বাঘা তেঁতুল। শাশুড়িকে টেক্কা দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায় সে। নকল নার্স সেজে হাজির হয় সিংহ রায় বাড়িতে। জানায়, মধুজার দেখাশোনার জন্য চিকিৎসকই তাকে পাঠিয়েছে। এর পর শুরু হয় সেবা পর্ব। আর সেই সেবার ঠেলায় নাজেহাল হয়ে ওঠে 'রোগী'। শাশুড়িকে শায়েস্তা করার জন্য তাকে ইনজেকশন দেওয়ার ভয় দেখায় বনি। বলে, সে জটিল রোগে আক্রান্ত। ব্যাস, এর পরেই সহ্যের বাঁধ ভাঙে। মুখ ফস্কে সত্যি কথা বলে ফেলে মধুজা।
(আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমার প্রস্তুতি শুরু! ঝগড়ার মাঝেই খড়িকে জড়িয়ে রাখল ঋদ্ধি)
সুতরাং আর কোনও বাধা রইল না। অবশেষে মধুচন্দ্রিমায় যাবে ঋদ্ধি-খড়ি। তাদের সঙ্গী হবে রাহুল-দ্যুতি, বনি-কুণাল।