পরিস্থিতির চাপে বনির সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দেয় কুণাল। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটে না। দায় সারা বিয়ে মানতে রাজি নয় স্থানীয়রা।
তাদের দাবি, সব ধরনের নিয়মরীতি মানতে হবে, মালাবদল করতে হবে। তবেই তা বিয়ে বলে গণ্য হবে। আর কোনও পথ না পেয়ে রাজি হতে হয় খড়িকে। নিজের হাতে বনি-কুণালের গাঁটছড়া বেঁধে দেয় সে। অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে হয় দু'জনের।
অন্য দিকে, বিয়ের লগ্ন বয়ে যায়। মণ্ডপে একা বসে অয়না। তার মায়ের আশঙ্কা, মেয়ের প্রেমিকের কথা জানতে পেরেই পালিয়েছে কুণাল। মনে যা-ই থাকুক মুখে মেয়ের জন্যই ওকালতি করে চলেছে সে। এমনই অবস্থায় বিদেশ থেকে ফিরে বাড়ির পথে রওনা হয় ঋদ্ধিমান। রাহুলের থেকে বিয়ে ভাঙার খবর পেয়ে হতবাক সে।
অবশেষে বাড়ি ফেরে খড়ি। তাকে দেখে উতলা সকলেই। মধুজা তার ছেলের খোঁজ করে। খড়ি জানায়, কুণালের বিয়ে হওয়ার আর সম্ভব নয়। কেউ যখন এ কথার মানে বুঝছে না, তখনই স্ত্রী বনিকে নিয়ে হাজির সিংহ রায় বাড়ির ছোট ছেলে।
কাঠগড়ায় তোলা হয় খড়িকে। বলা হয়, সম্ভ্রান্ত পরিবারে নিজের বোনকে জায়গা করে দিতেই কুণালের বিয়ে ভাঙে সে। ঋদ্ধিও কি একই কথা বলবে? ফের তৈরি হবে দূরত্ব? এখন সেটাই দেখার।