নতুন বৌয়ের আগমণ। কিন্তু সিংহ রায় পরিবারে শোকের ছায়া যেন কাটতে চায় না! ঋদ্ধির আপত্তি অগ্রাহ্য করেই বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসে খড়ি। কিন্তু দিদির জীবনে সমস্যা ডেকে নতুন অধ্যায় শুরু করতে নারাজ বনি। বাড়ির চৌকাঠে দাঁড়িয়েই সে কথা জানিয়ে দেয় সে। উগরে দেয় ক্ষোভ-দু:খ।
আর তখনই মেজাজ হারায় কুণাল। চুপচাপ সব নিয়মরীতি মানার নির্দেশ দেয় স্ত্রীকে। প্রিয় বন্ধুর এই আচরণে ব্যথিত বনি। তবু তার কথা মেনেই সিংহ রায় বাড়িতে প্রবেশ করে সে।
বনিকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারছে না মধুজা। তার মন জুড়ে এখনও শুধুই অয়না। তাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় মঞ্জিরা। কিন্তু হিতে বিপরীত। মঞ্জিরাকে কাঠগড়ায় তুলে দেয় মধুজা। মনে করিয়ে দেয়, খড়ির সঙ্গে ঠিক কেমন আচরণ করেছিল সে।
অন্য দিকে, বাড়িতে আসতেই বনিকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা কিয়ারার। সফল সে। রেগে গিয়ে ননদের দিকেও তেড়ে যায় বনি। শুরু হয় বিতণ্ডা। নতুন বৌয়ের রুদ্রমূর্তি তাকে আরও একবার দোষারোপ করে মধুজা। অবশেষে খড়ির মধ্যস্থতায় শান্ত হয় পরিস্থিতি।
ঝড় বয়ে যাচ্ছে জীবনে। মন ভালো নেই খড়ির। একা সময় কাটাতে চায় সে। আর তখনই ঋদ্ধিমানের আবির্ভাব। পরম যত্নে স্ত্রীর চোটে ওষুধ দেয় সে। তারই সঙ্গে সাবধানবাণী। জানিয়ে দেয়, ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে এ রকম আরও অনেক আঘাত পাবে খড়ি।
তবে কি সত্যিই ভাঙনের মুখে তাদের সম্পর্ক? আলাদা হবে ঋদ্ধি-খড়ি? জানতে মুখিয়ে অনুরাগীরা।