বিষাদের ছায়া যেন কাটতে চায় না সিংহ রায় পরিবারে। বনি-কুণালের বিয়ে ঘিরে সমস্যা বেড়েই চলেছে। খড়ির বোনকে এখনও পুত্রবধূ হিসেবে মানতে নারাজ মধুজা। সম্পর্ক টানাপড়েন, মনোমালিন্য যেন থামতেই চায় না!
বিয়ের পর অল্প হলেও নিজেকে বদলেছে বনি। পরনের শার্ট-প্যান্ট ত্যাগ করেছে। সালোয়ার কামিজে দেখা যাচ্ছে সিংহ রায় বাড়ির নতুন বৌকে। তবে সে এখনও দ্বিধাগ্রস্ত। কে তাকে কবাডি প্রতিযোগিতার টোপ দেখিয়ে সেই জঙ্গলে নিয়ে গেল? কেনই বা সে কুণালকে তার বন্দি অবস্থার ভিডিয়ো পাঠালো? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বনির মাথায়।
পালন হচ্ছে কালরাত্রি। তবু স্থির থাকতে পারেনি বনি। মাঝরাতে কুণালের সঙ্গে দেখা করতে যায় সে। মনের সব কথা খুলে বলতে চায়। তাই স্বামীকে চার দেওয়ালের ঘেরাটোপ থেকে বাইরে আনতে চায় সে। আর তখনই মধুজার আবির্ভাব।
কালরাত্রিতে একে অপরের মুখ দেখে না স্বামী-স্ত্রী। মধুজার অভিযোগ, সেই নিয়ম ভেঙেছে বনি। বাড়ির সবাইকে ডেকে জড়ো করে সে। শুরু হয় বিতণ্ডা। চলতে থাকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা।
রাত পোহাতেই বনির বৌভাত। স্ত্রীর হাতে ভাত-কাপড় তুলে দেবে কুণাল। কুমুদিনির নির্দেশে যাবতীয় আয়োজনে ব্যস্ত খড়ি।
তবে কি ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরবে বনি-কুণালের সম্পর্ক? নাকি পেরতে হবে আরও পথ? এখন সেটাই দেখার।