ভট্টাচার্য বাড়ি বাঁচাতে মরিয়া ঋদ্ধি। সাত-পাঁচ চিন্তা না করেই অসৎ প্রোমোটার ঝুনঝুনওয়ালার মুখোমুখি সে। জালিয়াতি করে বাড়ি কেনার জন্য তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়। দলিলে সইটি যে আসলে ঋদ্ধির নয়, সে কথাও প্রমাণ করার দাবি করে।
ঋদ্ধির এই প্রতিবাদী সত্তা যদিও মনে ধরেনি খড়ির। স্বামীর অকারণ 'হিরোগিরি'তে অস্বস্তিতে সে। আইনি পথে হাঁটলে ফয়সালা কবে হবে, জানা নেই। তাই ঋদ্ধির পন্থায় বিশ্বাস রাখতে নারাজ তার স্ত্রী। তবে উপায়? ছদ্মবেশ! এ বার ঘুরপথেই বাজিমাতের পরিকল্পনা।
(আরও পড়ুন: মিঠাই,গাঁটছড়ার পর নতুন বেঙ্গল টপার! টিআরপি তালিকায় বাজিমাত করল জলসার এই সিরিয়াল)
দুবাইয়ের শেখ সেজে ফের ঝুনঝুনওয়ালার অফিসে উপস্থিত ঋদ্ধি। জানায়, বিশাল বড় ব্যবসায়ী সে এবং পৃথিবীর মোটামুটি সব দেশেই তার একটি করে বাড়ি আছে। এ বার পালা ভারতের। কায়দা করে পুরনো দিনের ঐতিহ্যময় বাড়ির খোঁজ চায় সে। ধনী ব্যবসায়ীকে দেখে ঝুনঝুনওয়ালাও আপ্লুত। মনের মতো বাড়ি খুঁজে দেওয়ার আশ্বাসও দেয় তাকে। কিন্তু ভালো ভালো বাংলো-অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে পুরনো বাড়ি কেন? প্রশ্ন করতেই বিপাকে ঋদ্ধি। কী উত্তর দেবে বুঝে উঠতে পারে না। মুশকিল আসান করে খড়ি। বোরখা পরে ঝুনঝুনওয়ালার অফিসে হাজির সে। শেখের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলে পরিচয় দেয় নিজের। বলে, নতুন নয়, পুরনো বাড়িই তার পছন্দ।
অন্য দিকে, নাজেহাল অবস্থা দ্যুতির। অন্ন সংস্থানের জন্য এ বার চায়ের দোকান চালাবে সে। সব ব্যবস্থা প্রসূনই করে দিয়েছে। কিন্তু নিজের এই পরিণতির জন্য স্বামী রাহুলকেই দায়ী করে খড়ির দিদি। চলে বিতণ্ডাও।
কিন্তু শেষমেশ কী হবে? ছদ্মবেশে কার্যসিদ্ধি করতে পারবে ঋদ্ধি-খড়ি? নাকি ফের নতুন চাল চালবে রাহুল? এখন সেটাই দেখার।