ভট্টাচার্য পরিবারের দু:সময় কাটল। নিজেদের বাড়ি ফিরে পেল খড়ির মা-বাবা।
প্রসূনের পর্দা ফাঁস করে রাহুল। জানায়, সিংহ রায় বাড়িতে চুরির নেপথ্যে ছিল তাদেরই পরিবারের জামাই। শুধু দাবিই করে না। হাতে গরম প্রমাণও দেয়। এর পরেই ভট্টাচার্য বাড়ি বিক্রি ঘিরে তৈরি ধোঁয়াশা কাটায় রাহুল। বলে, প্রসূনকে ধরতেই ফাঁদ পাতে সে। সফলও হয়। রাহুলের বক্তব্য শুনে হতবাক ঋদ্ধি, খড়ি এবং নরেন্দ্র। যাকে ঘিরে এত অভিযোগ, সেই প্রসূনও তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
আর কোনও পথ না পেয়ে দোষ স্বীকার করে সিংহ রায় বাড়ির জামাই। ঋদ্ধি, খড়ি, নরেন্দ্র- সকলের কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করে। জানায়, আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সে। স্ত্রী-সন্তানের কথা ভেবেই তাই চুরির পদক্ষেপ। শেষ রক্ষা যদিও হয়নি। নরেন্দ্র জানিয়ে দেয়, আর তার ঠাঁই হবে না সিংহ রায় বাড়িতে।
বাড়ির আসল দলিল পাওয়া যায়। ভট্টাচার্য বাড়ির মালিকানা থেকে যায় অহিন্দ্রের হাতেই। ভাইকে ক্ষমা করে দেয় ঋদ্ধি। রাহুল, দ্যুতি আর পারমিতাকে ফিরিয়ে আনতে হাজির হয় তাদের অস্থায়ী আস্তানায়। সঙ্গী খড়ি, বনি আর কুনাল। সরে যায় অভিমানের আস্তরণ। তবে কি সুদিন ফিরবে? নাকি অপেক্ষা করছে নতুন কোনও দুর্ভোগ? এখন সেটাই দেখার।