তিন সপ্তাহ টানা। বক্স অফিসে রাজত্ব করে চলেছে সানি দেওল আর আমিশা পাটেলের গদর ২। ছবি নিয়ে মাতামাতি পড়ে গিয়েছে দর্শকদের মধ্যে। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গদর: এক প্রেম কথা’-র সিক্যুয়েল যে এভাবে সাড়া ফেলবে তা ভাবেননি অনেকেই। রজনীকান্তের জেলর, অক্ষয় কুমারের ওএমজি ২-কে টক্কর দিয়ে হল দখলে রেখেছিল সানি। তবে দেখা যাচ্ছে, চতুর্থ শুক্রবারে এসে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল আয়। sacnilk.com-এর রিপোর্ট অনুসারে ছবি ঘরে তুলল মাত্র ৪.৩০ কোটি। যা গদর ২-এর এতদিনের সর্বনিম্ন আয়।
তিন সপ্তাহের শেষে ছবির আয় ছিল ৪৮২ কোটি। আর বর্তমানে চতুর্থ শুক্রবারের আয় যোগ করে তা গিয়ে দাঁড়াল ৪৮৬. ৭৫ কোটিতে। এখন প্রশ্ন, তাহলে কি ৫০০ কোটিতে পৌঁছনোর যে স্বপ্ন গদর ২-এর নির্মাতারা দেখেছেন তা অধরাই থেকে যাবে! যদিও ধারণা করা যাচ্ছে, শনি ও রবিবারে ফের হয়তো কামাল দেখাবে ছবিখানা। আর আয়ও দুই সংখ্যার অঙ্কে থাকবে। সেক্ষেত্রে রবিবারের মধ্যেই গদর ২ পৌঁছে যাবে ৫০০ কোটিতে। আপাতত ভারতে সর্বোচ্চ আয়কারী তৃতীয় হিন্দি ছবি এটা। তালিকায় পয়লা নম্বরে আছে শাহরুখ খানের পাঠান। আর দ্বিতীয় নম্বরে বাহুবলী ২।
বক্স অফিস বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শাহরুখ খানের জওয়ান আসা অবধি হল দখলে রাখবে সানি দেওলের ছবিখানা। ৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সব হিসেব উল্টেপাল্টে যাবে। গদর ২-কে যা আয় করার তার মধ্যেই করে ফেলতে হবে।
১ সেপ্টেম্বর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে জওয়ান-এর প্রি বুকিং উইন্ডো। আর দেখা যাচ্ছে, শাহরুখ খানের ছবির টিকিট বিক্রি হচ্ছে হুরমুড়িয়ে। টিকিটের সর্বোচ্চ দাম দিল্লি ও মুম্বইতে ২৩০০ থেকে ২৪০০। কলকাতার কোয়েস্ট আর ফোরাম মলগুলিতে টিকিটের সর্বোচ্চ দাম ১৭০০-১৮০০ টাকা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার গদর ২ নিয়ে বড় খবর শেয়ার করে নিয়েছেন ছবির পরিচালক অনিল শর্মা। জানিয়ে দিলেন, সানির ছবি যাবে অস্কারের মঞ্চে। তাঁর টিম এখন থেকেই আবেদন প্রক্রিয়ার কাজটি শুরু করে দিয়েছে। তিনি জানান, ‘গদর ২ সত্যিই অস্কার পাওয়ার যোগ্য। গদর-ও অস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিল। আমরা ১৯৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা পাওয়ার গল্পটিকে একেবারে আলাদা ভঙ্গিতে বলেছিলাম। ওটা একটা নতুন এবং মৌলিক গল্প ছিল। গদর ২-ও নতুন এবং মৌলিক গল্প।’