১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়া গদর ২ সম্প্রতিই পা রেখেছিল ৫০০ কোটির ক্লাবে। আর সর্বোচ্চ আয় করা হিন্দি ছবির তালিকায় রয়েছে তিন নম্বরে। প্রথম স্থানে রয়েছে শাহরুখ খানের পাঠান, দ্বিতীয় স্থানে প্রভাসের বাহুবলী ২ ও তৃতীয় স্থানে সানি দেওলের গদর ২। অনেকেরই আশা ছিল, পাঠানকে টপকে বুঝি বা সর্বোচ্চ উপার্জনের তালিকায় এক নম্বরে যাবে ‘গদর ২’। তবে দেখা যাচ্ছে, সানির সে স্বপ্ন থেকে যাবে অধরাই।
Sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে, গদর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ জওয়ান মুক্তির দিন ব্যবসা করল মাত্র ১.৫০ কোটির। আর ২৮ দিনে ছবির মোট সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়াল ৫১০.৫৯ কোটিতে। প্রথম সপ্তাহে গদর ২ ঘরে তুলেছিল ২৮৪.৬৩ কোটি, দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৩৪.৪৭ কোটি আর তৃতীয় সপ্তাহে ৬৩.৩৫ কোটি।
তবে বাহুবলী ২-কে ধরে ফেলেছে গদর ২। প্রভাসের ছবির হিন্দি ভার্সনের দেশে আয় ছিল ৫১১ কোটি। সেই হিসে সানির ছবি এই মুহুর্তে রয়েছে সর্বোচ্চ উপার্জিত হিন্দি সিনেমা হিসেবে দু নম্বরে। ঠিক পাঠানেরই পরে। তবে পাঠানের রেকর্ড ভাঙতে সানির সিনেমাকে ৫৪০ কোটির উপরে রোজগারকরতে হবে। যা জওয়ানের সঙ্গে টক্কর দিয়ে বেশ মুশকিলের হবে।
গদর ২-এর সাফল্যের পর সাংবাদিক সম্মেলনে সানি দেওল জানান, ‘‘ছবি মুক্তির আগে আমি কিন্তু খুব ভয়েই ছিলাম। তবে ছবি প্রেক্ষাগৃহে আসার দিন সারাটা রাত আমি ঘুমোইনি। কখনও হাসছি, কখনও কাঁদছি। সেইসময় বাবা (ধর্মেন্দ্র) ছিলেন আমার পাশে। আমি বাবাকে বলেছিলাম, ‘আমি মদ খাইনি। আনন্দের জন্যই এমনটা করছি’।’’
অনিল শর্মা পরিচালিত গদর ২, ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল। যাতে তারা সিং-এর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সানি দেওলকে আর সাকিনার চরিত্রে আমিশা। এই সিনেমাতেও এই দুটি চরিত্র রয়েছে। সঙ্গে গদর-এ অভিনয় করা শিশুশিল্পী উৎকর্ষ শর্মা কাজ করেছেন গদর ২-তেও। এই ছবিতেও তিনি তারা-সাকিনার পুত্র। যে পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি প্রেম ঘটিত কারণে। আর ছেলেকে পাক সেনার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতেই ফের একবার পড়শি দেশে পা রাখবেন সানি।
সম্প্রতি গদর ২-এর সাকসেস পার্টিও রাখা হয়েছিল মুম্বইতে। যাতে বলিউড তারকারা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে সানি দেওল-সহ গদরের গোটা টিমকে। নিমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন গৌরী ও শাহরুখ খান, সলমন খান, আমির খান, ধর্মেন্দ্র, বরুণ ধাওয়ান, সিদ্ধার্থ মলহোত্রা, কিয়ারা আদবানি এবং শিল্পা শেট্টি, অনুপম খের, সঞ্জয় দত্ত, টাবু, কাজল-অজয় দেবগনরা।