এবার হয়তো থেমে যাবূে ‘গদর ২’-এর গাড়ি। পাঠান-এর রেকর্ড না ভেঙেই বক্স অফিসকে বিদায় জানাতে হবে সানি দেওল ও আমিশা পাটেলের এই দেশভক্তির গাঁথাকে। ১১ অগস্ট মুক্তির পর থেকে যে ঝড় তুলেছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র, তা এক ঝটকায় থামিয়ে দেয় শাহরুখ খানের জওয়ান। অ্যাটলির অ্যাকশন ড্রামা-র কারণে শুধু যে হল পেতে মুশকিল হল তাই নয়, দর্শক আসাও প্রায় বন্ধ। শনিবারে তাই গদর ২-এর আয় নেমে এল মাত্র ৪৫ লাখে।
গদর ২-এর বক্স অফিস কালেকশন:
sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে, শুক্রবার অর্থাৎ ৩৬ নম্বর দিনে সানি দেওলের সিনেমার আয়ের অঙ্ক দেশ-জুড়ে মাত্র ৪৫ লাখ। সেখানে জওয়ান-এর সংগ্রহ ২৩ লাখ। ১১ অগস্ট ৪০ লাখ দিয়ে খাতা খুলেছিল এই ছবি। চলুন মুক্তির পর থেকে গদর ২-এর আয়ে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
গদর ২- প্রথম সপ্তাহের আয়: ২৮৪.৬৩ কোটি
দ্বিতীয় সপ্তাহের আয়: ১৩৪.৪৭ কোটি (-৫২.৭৬%)
তৃতীয় সপ্তাহের আয়: ৬৩.৩৫ (-৫২.৮৯%)
চতুর্থ সপ্তাহের আয়: ২৭.৫৫ কোটি (-৫৬.৫১%)
পঞ্চম সপ্তাহের আয়: ৭.২৮ কোটি (-৭৩.৫৮%)
শুক্রবার ষষ্ঠ সপ্তাহে পা রাখল গদর ২। আর ষষ্ঠ শুক্রবারে ৪৫ লাখ নিয়েই থাকতে হল সন্তুষ্ট। আর মোট আয় গিয়ে দাঁড়াল ৫১৭.৭৩ কোটিতে।
পরিচালক অনিল শর্মার গদর ১ অর্থাৎ গদর: এক প্রেম কথা মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে। সেই সময়ও বক্স অফিসে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছিল সানি-আমিশার জুটি। দেশভাগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সিং আর সাকিনার প্রেম দেখে আবেগে ভেসেছিল গোটা দেশ। বউকে দেশে ফেরাতে পাকিস্তানের আর্মির সঙ্গে লড়েছিল তারা সিং একা।
এরপর ২১ বছর পর ২০২২ সালে মুক্তি পায় ‘গদর ২’। যা তৈরি করা হয় ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ছবিতে দেখানো হয় তারা আর সাকিনার একমাত্র ছেলে জিতে ওরফে চরণজিৎ বড় হয়ে গিয়েছে। প্রেমঘটিত কারণে সে পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি। আর সেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সকলের নিষেধ আমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া টপকে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন তারা। আর শুধু ঢোকেই না, পাকিস্তানের সেনাকে হাতুড়ি পেটা করে ছাড়িয়ে আনে ছেলেকে। আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দিলেন ঋদ্ধিমা, দাদু হলেন সব্যসাচী! গৌরবের কোলে ছেলে এল না মেয়ে?
গদর ২-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর পরিচালক অনিল শর্মা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে অস্কারের মঞ্চে পাঠাবেন তাঁরা গদর ২-কে।পরিচালকের দাবি, লোকেরা তাঁকে বারবার ফোন করে বলছে, গদর ২-কে অস্কারে পাঠানোর জন্য। ‘গদর ২ সত্যিই অস্কার পাওয়ার যোগ্য। গদর-ও অস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিল। আমরা ১৯৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা পাওয়ার গল্পটিকে একেবারে আলাদা ভঙ্গিতে বলেছিলাম। ওটা একটা নতুন এবং মৌলিক গল্প ছিল। গদর ২-ও নতুন এবং মৌলিক গল্প।’, জানান অনিল মিডিয়াকে। সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন তাঁর টিম ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে।