অনিল শর্মা, ‘গদর’ এবং ‘গদর ২’ এই দুটি সিনেমাই সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। সানি এবং আমিশা দুজনেই সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করলেও সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে কিছু মতবিরোধ হয়েছিল আমিশা প্যাটেল এবং পরিচালকের মধ্যে।
‘গদর ২’ মুক্তি পাওয়ার পর একটি সাক্ষাৎকারে আমিশা জানিয়েছিলেন, আমি জানতাম যে সাকিনা সিনেমার ভিলেনকে হত্যা করবে, তেমনটাই জেনে আমি সিনেমা করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু অনিল শর্মা পরে সিনেমার ক্লাইম্যাক্স পরিবর্তন করেন, তাতে আমার খারাপ লেগেছিল।
আরও পড়ুন: ‘কিছু কিছু কথা…’ বাড়িতে বসেই অরিজিতের গান গেয়ে শোনাল সারেগামাপা-র অনীক, কী বলছে নেটপাড়া?
আমিশার জবাবে অনিল শর্মা
ভিকিল আলওয়ানির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অনিল শর্মা বলেন, আমিশা যখন বলেছিলেন যে উনি পাকিস্তানে যেতে চান তখন আমি ওঁকে বলেছিলাম স্ক্রিপ্টের কথা মাথায় রেখে সেটা হবে না। আপনারাই বলুন, এটা কোনও ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না? উনি কি সত্যি চিত্রনাট্য পড়ে সিনেমাটি করেননি?
অনিল শর্মা আরও বলেন, প্রত্যেক অভিনেতাই চান যে বড় কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে। কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। পাকিস্তান কোনও টুরিস্ট স্পট নয়। সানি দেওলের পক্ষে সবাইকে নিয়ে সেখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ হতে পারত।
পরিচালক বলেন, আপনি যদি চিত্রনাট্যের দিক থেকে ব্যাপারটা বিচার করেন তাহলে ভাবুন তারা সিং নিজের ছেলেকে উদ্ধার করতে পাকিস্তানের গেছে, সেখানে কিছু লোক হঠাৎ করে তার স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দিল। সেই মানুষটা এবার নিজের স্ত্রীকে বাঁচাবে না ছেলেকে, বড্ড বেশি আজগুবি হয়ে যেত না ব্যাপারটা।
আরও পড়ুন: মার্চেই আসবে সন্তান! অনিন্দিতাকে সাধ খাওয়াল 'তেঁতুল পাতা' পরিবার, হবু মাকে খাইয়ে দিলেন গৌরব
আরও পড়ুন: 'আপনারা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে খুন করতে চাইছেন,এই শিল্পের প্রতি একটু দয়া করুন…', সংসদে বললেন জয়া
৯০ দশকের মানুষের কাছে ‘গদর ২’ ছিল একটি নস্টালজিক সিনেমা। যেহেতু এই সিনেমাটি একটি সিক্যুয়েল ছিল, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সিনেমার মাধ্যমে পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছিলেন।
‘গদর’ সিনেমায় যেমন সাকিনাকে উদ্ধার করতে পাকিস্তানের গিয়েছিলেন তারা সিং, ঠিক তেমনি দ্বিতীয় সিনেমাটিতে ছেলেকে উদ্ধার করতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তারা সিং। খুব স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় সিনেমায় পাকিস্তানে কোনও ভূমিকা ছিল না আমিশার, আর তাতেই চটেছিলেন অভিনেত্রী।