বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Ameesha Patel-Anil Sharma: 'বড়লোকের বেটি' আমিশার বড্ড দেমাক? গদর ২ পরিচালক বললেন-‘উনি অভিনয়টা জানতেন না’

Ameesha Patel-Anil Sharma: 'বড়লোকের বেটি' আমিশার বড্ড দেমাক? গদর ২ পরিচালক বললেন-‘উনি অভিনয়টা জানতেন না’

আমিশাকে নিয়ে অকপট অনিল শর্মা  (AFP)

Ameesha Patel-Anil Sharma: নামী গুজরাতি পরিবারের মেয়ে আমিশা প্যাটেল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘নাকউঁচু অভিনেত্রী’ হিসাবেই পরিচিত। পর্দার সাকিনা কি সত্যিই ‘বদ মেজাজি’? অবাক করা জবাব গদর ২ পরিচালকের। 

বক্স অফিস জুড়ে এখন শুধু গদর ২ ঝড়। জওয়ান আসার আগে সানি-আমিশাদের বিজয়রথের চাকা গড়গড়িয়ে এগোবে তা অবধারিত। হিন্দি ছবির ইতিহাসের তিন নম্বর ছবি হিসাবে ৫০০ কোটির ক্লাবের দিকে এগোচ্ছে পরিচালক অনিল শর্মার গদর ২। জয়ের চওড়া হাসি পরিচালকের মুখে। সম্প্রতি ছবির লিডিং লেডি আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে নিজের টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক। 

'নাক উঁচু, বড়লোক বাপের মেয়ে', কেরিয়ারের শুরুর দিকে ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই ইমেজ ছিল আমিশার। আমিশার কথা শুনে লোকজন তাঁকে বদমেজাজি আর অহংকারি ভাবত। সকলেই বলত, ‘মেয়েটার অ্যাটিটিউড প্রবলেম আছে’। পরিচালকের কথায়, মাঝেমধ্যে একটু-আধটু ‘অ্যাটিটিউড’ দেখালোও আমিশা ‘ভালো মনের মানুষ’। 

নিজের সঙ্গে আমিশার সম্পর্কের সমীকরণ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘আমার সম্পর্ক কারুর সঙ্গেই খারাপ নয়। ঝগড়া হয়েছে, সেটা মিটেও গেছে। আমিশাজির স্বভাবটাই আসলে এমন। আগের ছবির সময় (গদর) মিটিং-এর সময়তেই ওঁনার সঙ্গে তু-তু-মেয়-মেয় হয়েছিল আমার। উনি বড়লোকের বেটি, অনেক সময় বড় ঘরের মেয়েদের এই মেজজাটা থাকে। আমি সাধারণ পরিবারের ছেলে, আমরা ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখতে জানি। আসলে ওঁনারও সেটাই পছন্দ, ওঁনার মেজাজটা একটু এমন যে মাঝেমধ্যে এদিক-ওদিক কিছু ঘটে যায়, তবে উনি ভালো মানের মানুষ’।

এখানেই শেষ নয়, শুরুর দিকে অভিনয় জানতেন না আমিশা, এমন কথাও বলতে শোনা গেল গদর ২ পরিচালককে। নামী গুজরাতি পরিবারের মেয়ে আমিশা প্যাটেল বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ২০০০ সালের ব্লকবাস্টার ছবি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র সঙ্গে, এই ছবিতে আমিশার হিরো ছিল হৃতিক রোশন। এই ছবি রাতিরাতি সুপারস্টার বানিয়েছিল এই নবাগতাকে। সাফল্যের জোয়ারে ভেসেছিলেন আমিশা। পরের বছরই মুক্তি পায় ‘গদর’। যা ফের ব্লকবাস্টার। 

অনিল শর্মার কথায়, ‘চাঁদের মতো একটা মুখের দরকার ছিল। ওঁনার অভিনয়টা একটু কাঁচা ছিল, আমি প্রযোজক নীতিন কেনিকে বলেছিলাম, এই মেয়েটাকে আমার পছন্দ (সকিনার চরিত্রে), আরও একটা মেয়ে রয়েছ সে কিন্তু এর চেয়ে ভালো অভিনেত্রী। তবে এর মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার রয়েছে, বড়লোক ঘরের মেয়ে তো। ওর মধ্যে একটা অ্যাটিটিউড রয়েছে’।

আমিশাকে ঘষে-মেজে নিয়েছিলেন পরিচালক। গদরের সকিনা হয়ে উঠতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন অভিনেত্রীকে। ভালো ছাত্রী আমিশা প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা সকিনা হয়ে ওঠার তালিম নিতেন। সপ্তাহ খানেক আগেও পরিচালক অনিল শর্মার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন আমিশা, বলেন গদর ২-এর শ্যুটিং নাকি খুবই বিশৃঙ্খল পরিবেশে হয়েছে। যদিও নায়িকার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন পরিচালক। 

পরিচালকের সঙ্গে বনিবনার অভাব থাকলেও পর্দায় তাঁর বিন্দুমাত্র প্রতিফলন চোখে পড়েনি। সকিনা ২২ বছর পরেও সুপারহিট ফ্যানেদের হৃদয়ে। দীর্ঘদিন বড় পর্দা থেকে গায়েব থাকার পর ‘গদর ২’-এর সঙ্গেই কামব্যাক করেন আমিশা, তাঁর এই ফিরে আসা ব্লকবাস্টার হিট!

 

 

 

বন্ধ করুন