একসময় সানি দেওলকে শুনতে হয়েছিল বলিউডে তাঁর কেরিয়ার শেষ। বড় প্রোজেক্টে তাঁকে ডাকাও হত না। এমনকী, বড় বড় বলিউডি পার্টিতেও থাকতেন ব্রাত্যই। তবে ধর্মেন্দ্র-পুত্র বুঝিয়ে দিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়া গদর ২ ঢুকে পড়ল ৫০০ কোটির ঘরে। তাও মাত্র ২৪ দিনে। করোনা পরবর্তী বাজারে যেখানে বড় বড় বাজেটের ছবি, হেভি স্টারকাস্ট থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ সিনেমার গাড়ি মেরেকেটে একশো কিংবা দেড়শো কোটিতেই থেমে যাচ্ছে, সেখানে সানির ছবি দেখিয়ে দিল গল্প ভালো হলে, আর ছবিতে জান থাকলে হলে লোক আসবেই।
sacnilk.com-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে চতুর্থ রবিবারে গদর ২ ভারতের বাজারে ব্যবসা করল ৮.৫০ কোটির। আর সেই অঙ্কে ভর করে ছবির আয় গিয়ে দাঁড়াল ৫০১.৮৭ কোটিতে। বলে রাখা ভালো, গদর ২-ই হল প্রথম হিন্দি সিনেমা যা মাত্র ২৪ দিনে ৫০০ কোটির ঘরে ঢুকেছে। শাহরুখ খানের পাঠানের এই কাজ করতে সময় লেগেছিল ২৮ দিন। আর বাহুবলী ২-এর হিন্দিভার্সানের ৩০ দিনেরও বেশি। আরও পড়ুন- গদর ২-এর সাকসেস পার্টিতে গৌরীতেই আটকে শাহরুখের চোখ! গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন সানি দেওলকে
বর্তমানে সানি দেওলের ছবি ভারতে সর্বোচ্চ উপার্জকারী হিন্দি ছবির তালিকায় রয়েছে ৩ নম্বরে। পয়লা নম্বরে রয়েছে চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া পাঠান। যার দেশীয় বাজারে আয় ছিল ৫৪০ কোটি। আর তারপর আছে বাহুবলী ২। যার হিন্দি ভার্সন ভারতে আয় করেছিল ৫১১ কোটি। আর গদর ২ আছে এখন ৫০১ কোটিতে। এখন দেখার আয়-এর দিক থেকে শাহরুখের ছবিকে টপকাতে পারে কি না সানি দেওলের ‘গদর ২’। আরও পড়ুন: দেবকে ছাপিয়ে গেল সানি-প্রেম! বাংলায় রমরমা গদর ২-র, ব্যোমকেশের তিন সপ্তাহে আয় কত?
এদিকে ৭ সেপ্টেম্বর হলে আসছে কিং খানের ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সিনেমা জওয়ান। যার টিকিটের প্রি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকেই। ইতিমধ্যেই ৪ লাখ টিকিট অ্যাডভান্সড বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও তো প্রথম দিনের শো হাউজফুলও। টিকিটের দামও বেশ ভালোই রেখেছেন শাহরুখ। ২০০ টাকার কমে শহরাঞ্চলে জওয়ান-এর টিকিট নেই বললেই চলে। ফলত, একবার জওয়ান এসে গেলে সানি দেওলের ‘গদর’-এর জন্য হল পাওয়া বেশ মুশকিলেরই হবে। তাই খুব সম্ভবত, সর্বোচ্চ উপার্জকারী হিন্দি ছবির তালিকায় পয়লা নম্বরে আসার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে গদর-প্রেমীদের। বরং, সম্ভাবনা বেশি শাহরুখের পাঠান-এর রেকর্ড ভেঙে দেবে শাহরুখেরই জওয়ান।