এক দশকের বেশি সময় ধরে বক্স অফিসে কোনও সাফল্য পাননি সানি দেওল। বলা চলে, কিছুটা যেন সাইডলাইনেই চলে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। তবে হিন্দি সিনেমার একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন চলতি বছরে। গদর ২ পেয়েছে আশাতীত সাফল্য। জাতীয় বক্স অফিসে প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটির ব্যবসা করেছে এই সিনেমা।
সম্প্রতি সানি হাজির হয়েছিলেন গোয়ার পানজি-তে চলা ৫৪ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। আর সেখানে গিয়ে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় তাঁকে। সিনেমায় নিজের জার্নি নিয়ে কথা বলার সময়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
জানান, রাহুলের সঙ্গে কেরিয়ারের শুরুতেই আসা কাজের সুযোগ, এবং বেতাব ও অর্জুনের মতো সিনেমায় কাজ করতে পেরে তিনি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করেন। সানি মনে করেন, কেরিয়ারের কিছু ছবি তাঁর চলেছে, কিছু চলেনি। কিন্তু এখনও সেই ছবিগুলির জন্যই দর্শক তাঁকে মনে রেখেছে।
তবে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন ২০০১ সালে ‘গদর’-এর সাফল্যের পর ভালো স্ক্রিপ্ট পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে তাঁকে। প্রায় ২২ বছর একটানা মুখোমুখি হয়েছেন ব্যর্থতার। কিছু সিনেমায় কাজ করলেও, তা পায়নি সাফল্য।
অভিনয়কে কেন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তা জানিয়ে সানি বলেন, ‘আমি অভিনেতা হতে চেয়েছিলাম, তাই সিনেমায় আসা। কোনওদিনও তারকা হওয়ার কথা ভাবিনি। বাবার (ধর্মেন্দ্র) সিনেমা দেখতাম, আর ওঁর মতোই সব ধরনের সিনেমায় কাজ করতে চেয়েছি।’
সানি দেওলের সঙ্গে সেই সময় মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজকুমার সন্তোষিও। যিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি অভিনেতাকে সুবিচার না দিলেও, ভগবান দিয়েছে। সব মিলিয়ে বারবার গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় সানিকে। বারবার ধন্যবাদ জানাতে থাকেন, যেভাবে দর্শকরা তাঁকে আপন করে নিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য।
বর্তমানে খবর রয়েছে, নীতিশ তিওয়ারি-র ‘রামায়ণ’-এ দেখা যাবে সানিকে। এই সিনেমায় নাকি হনুমান হিসাবে দেখা যাবে সানি দেওল-কে। বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট বলছে, হনুমানের চরিত্রে অভিনয় করতে ৪৫ কোটি টাকা দর হেঁকেছেন সানি। বলে রাখা ভালো, এই সিনেমায় ‘রাম’ হচ্ছেন রণবীর কাপুর। সীতার ভূমিকায় দেখা যাবে সাই পল্লবীকে। রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করবেন ‘কেজিএফ’ তারকা যশ।
একইসঙ্গে, ‘লাহোর ১৯৪৭’-এও দেখা যাবে অভিনেতাকে। রাজ কুমার সন্তোষি পরিচালিত এই ছবি প্রযোজনা করছেন আমির খান।