আমেরিকায় গিয় ফাল্গুনী শাহ এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে তাঁর বর এবং স্বামীও ছিলেন এদিন। নরেন্দ্র মোদী এদিন তাঁর গানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সম্প্রতি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী ফালু ওরফে ফাল্গুনী শাহর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মোদী সরকার শস্যের উপকারিতা প্রচারের জন্য একটি গান বানিয়েছেন। সেই গান নিয়েই এদিন কথা হয় তাঁদের মধ্যে। চলে আরও নানা বিষয়েও আলোচনা।
ফাল্গুনী শাহ মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এদিন বলেন, 'দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা আমাদের গানের উদ্বোধন করলাম। ওঁর গানটা ভীষণই পছন্দ হয়েছে। ভীষণ ভালো লাগল।'
তিনি একই সঙ্গে বলেন, 'উনি আমার ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন এদিন। উনি ওকে জিজ্ঞেস করেন যে ও বড় হয়ে কী হতে চায়, বা ওরও বড় হয়ে গায়ক হওয়ার ইচ্ছে কিনা, গান ভালোবাসে কিনা এসব। ওঁকে দেখে এদিন সত্যি খুব ভালো লাগল। আমরা একসঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি, প্রায় ৬ মাস একসঙ্গে আমরা নিবিড় ভাবে কাজ করেছি। তারপর এই সাক্ষাৎ ভালো লেগেছে। ওঁর এই অ্যালবামের কভার খুব পছন্দ হয়েছে। ভীষণ ভীষণ ভালো লাগছে। মন আনন্দে ভরে গিয়েছে।'
ফাল্গুনী এই গানের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'আমরা আশা করছি অনেক মানুষের উপকার হবে এই গানের মাধ্যমে। গানটি অনেকেরই মন ছুঁয়ে যাবে।'
এদিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী গায়িকা একটি বেগুনি রঙের শাড়ি পরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁকে ধন্যবাদ জানান এই গানের মাধ্যমে ভারত এবং আমেরিকার বাসিন্দাদের কাছাকাছি আনার জন্য। শস্যের উপকারিতার জন্য নির্মিত এই গানের নাম অ্যাবান্ডানস ইন মিলেটস।
গত শুক্রবার এই গানটি প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত হয় গানটি। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই গানটি লিখেছেন। গেয়েছেন ফাল্গুনী।
প্রসঙ্গত জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির ২০২৩ সালের অধিবেশনে এই বছরকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেটস বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এই গান লেখেন, যাতে সুরে সুরে সচেতনতা ছড়ানো যায় সবার মধ্যে।